এক নজরে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী 

Published: 21 June 2023

সিলেট অফিস :

তৃণমূল রাজনীতির বহু ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আজ একজন জনপ্রিয় ও চৌকস রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তাঁর চিন্তা ও চেতনায় রাজনীতি ও জনসেবার ভাবনা বহমান প্রতিনিয়ত। তাই ব্যক্তিগত কোনো চাওয়া-পাওয়া কখনই তার কাছে মুখ্য হয়ে ওঠেনি। সকাল থেকে রাত অবধি রাজপথে কর্মীদের সাথে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে থাকাতেই যেন তার যত আনন্দ। দলের দুর্দিনে নিজেকে আরো সুসংগঠিত করে দলের জন্য নিরলস কাজ করেছেন। আপসকামিতায় নিজেকে গুটিয়ে নেননি বরং নির্ভীক থেকে দলের প্রতি তার আনুগত্য প্রকাশ করেছেন।
১৯৭০ সালের ১ জুন সিলেট জেলার ওসমানীনগর উপজেলার বুরুঙ্গা বাজার ইউনিয়নের পশ্চিম তিলাপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম নৌশা মিয়া চৌধুরী এবং মায়ের নাম মোছা. গহিনুন্নেছা চৌধুরী।
কৈশোরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াকালীন বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন ও রাজনৈতিক দর্শন তাকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করে এবং তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হন।
ছয় ভাইয়ের মধ্যে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সবার ছোট। তিনি পশ্চিম তিলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক, বুরুঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, সিলেট সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি. এবং পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্য থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। পড়াশোনা ও রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথেও তিনি জড়িত ছিলেন।
তিনি দেশে মৌসুমী সমাজকল্যাণ সংঘ ও খেলাঘরের বিভিন্ন সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেন। বালাগঞ্জ ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক হিসেবে তার রাজনৈতিক সাংগঠনিক দায়িত্বের হাতেখড়ি। ‘সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদ’ নির্বাচনে ছাত্রলীগ থেকে ছাত্র-মিলনায়তন সম্পাদক পদে নির্বাচন করেন। এছাড়া তিনি ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সিলেটের রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
প্রবাসে গেলেও দেশ ও মানুষের প্রতি তার টান এতটুকুও কমেনি। প্রবাসে রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে তিনি প্রথমে লন্ডন মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্য যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য হিসেবেও মনোনীত হন। যুবলীগের রাজনীতি থেকে তিনি সরাসরি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন এবং বিভিন্ন সময় অন্তর্বর্তীকালীন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
প্রবাসে রাজনীতির পাশাপাশি তিনি দেশের রাজনীতিতে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার মাধ্যমে সক্রিয় ছিলেন।
সর্বশেষ চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড সিলেট সিটি নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী হিসেবে বেছে নেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে।
এর আগে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন ১১ জন।
তারও আগে গত ২২ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য থেকে দেশে এসে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ঘোষণা দেন, মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য দল তাঁকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দিয়েছে।
২২ জানুয়ারি সকালে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। ওই দিন হাজারো কর্মী-সমর্থক মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শহরে নিয়ে আসেন। এ সময় আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকজন নেতাও উপস্থিত ছিলেন।
পরে ২৬ জানুয়ারি তিনি দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গেও দেখা করেন। এর পর থেকেই জোরেশোরে আলোচনায় আসে তাঁর নাম।