ভূমধ্যসাগর ক্রসিংয়ে ৬ মাসে ২৮৯ শিশুর মৃত্যু
পোস্ট ডেস্ক :
জাতিসংঘ শুক্রবার বলেছে, ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় প্রায় ২৮৯ শিশু মারা গেছে বলে জানা গেছে।
জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ বলেছে, ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে রেকর্ড করা সংখ্যার থেকে এ সংখ্যাটি দ্বিগুণ। ইউরোপে শিশুদের সুরক্ষা খোঁজার জন্য প্রসারিত নিরাপদ, আইনি ও অ্যাক্সেসযোগ্য পথের আহ্বান জানিয়েছে তারা।
অভিবাসন ও বাস্তুচ্যুতি বিষয়ে ইউনিসেফের বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব ভেরেনা নাউস বলেছেন, প্রকৃত পরিসংখ্যান আরো বেশি হতে পারে।
কারণ কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরে অনেক নৌকাডুবির ঘটনায় কেউ জীবিত থাকে না বা নথিভুক্ত করা হয় না।
আরো পড়ুন : ২০১৭ সালের পর এ বছর ভূমধ্যসাগরে রেকর্ডসংখ্যক মানুষের মৃত্যু
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে প্রাণ হারানো শিশুর সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের প্রথমার্ধে দ্বিগুণ হয়েছে জানিয়ে নাউস বলেন, ‘আমাদের অনুমান, এই বছরের প্রথম ছয় মাসে ১১ হাজার ৬০০ শিশু পারাপার হয়েছে। এ সংখ্যাও ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।’
ইউনিসেফ বলেছে, ২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসে প্রায় তিন হাজার ৩০০ শিশুকে সঙ্গীহীন বা বিচ্ছিন্ন হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছিল, যা কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় পথে ইউরোপে আগত সমস্ত শিশুর ৭১ শতাংশ।
গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ সংখ্যা তিন গুণ বেশি।
নাউস বলেন, ‘এই শিশুদের জানা দরকার যে তারা একা নয়। বিশ্বনেতাদের অবশ্যই শিশুদের জীবনের অনস্বীকার্য মূল্য প্রদর্শনে জরুরিভাবে কাজ করতে হবে, কার্যকর সমাধানের দৃঢ় অন্বেষণে শোক প্রকাশের বাইরে চলে যেতে হবে।’