‘মুক্তিপণ না পেলে গুম করতেন আরসা কমান্ডার নূর ও তার বাহিনী’

Published: 22 July 2023

পোস্ট ডেস্ক :


রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাঁধা, খুন, অপহরণ, মাদক, স্বর্ণ চোরাচালান, গোলাগুলিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘আরসা’। অপরাধ করে মিয়ানমার, কক্সবাজার ও পার্বত্য এলাকার গহীন পাহাড়ে আত্মগোপন করতো আরসা সদস্যরা। অপহরণের পর চাহিদামত মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হলে অপহৃতদের হত্যার পর গহীন বনে লাশ গুম করে দিত।

শুক্রবার (২১ জুলাই) রাতে টেকনাফের বাহারছড়া এলাকার পাহাড় থেকে ‘আরসা’র শীর্ষ সন্ত্রাসী ও কুতুপালং ক্যাম্প এলাকার সামরিক কমান্ডার নূর মোহাম্মদকে (২৮) ছয় সহযোগী এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য উঠে এসেছে।

শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরের দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার মঈন।

গ্রেপ্তাররা হলেন কুতুপালং ক্যাম্প এলাকার সামরিক কমান্ডার নূর মোহাম্মদ, ধলা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন জোহার (৩০), ওবায়দুর রহমানের ছেলে মো. ফারুক ওরফে হারেস (২৩), জেবরমলুকের ছেলে মনির আহাম্মদ (৩৬), অলি আহাম্মদের ছেলে নূর ইসলাম (২৯), হোসেনের ছেলে মো. ইয়াছিন (২১)।

র‌্যাব কর্মকর্তা খন্দকার মঈন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে টেকনাফ বাহারছড়া পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে নুর মোহাম্মদকে ৬ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে উখিয়া, নাইক্ষ্যংছড়িসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, অপহরণ, অস্ত্রসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৫’র অধিক মামলা রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ‘খুন ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।

খন্দকার মঈন আরও বলেন, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে ঘুমধুম সীমান্তে র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানের সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় গোয়েন্দা সংস্থার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিহত হন। এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিলেন হাফেজ নুর মোহাম্মদ। তিনিই নিহত কর্মকর্তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। স্থানীয় অপরাধীদের সহযোগিতায় অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে মুক্তিপণ আদায় করতো তারা। তাদের চাহিদামত মুক্তিপণ না পেলে অপহৃতদের খুন করে লাশ গুমের ঘটনাও হয়েছে। টাকার বিনিময়ে সীমান্ত থেকে মাদক পরিবহন করতো নূরের বাহিনী।