রুমানিয়ায় ২৪ বাংলাদেশিসহ ৮৬ অভিবাসী আটক

Published: 14 November 2023

পোস্ট ডেস্ক :


অনিয়মিত পথে রুমানিয়া থেকে হাঙ্গেরিতে প্রবেশের চেষ্টার সময় ৮৬ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। অভিবাসীরা বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার নাগরিক বলে জানা গেছে। দুটি আলাদা বিবৃতিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে রুমনিয়ার সীমান্ত পুলিশ।

সীমান্ত পুলিশ সোমবার জানায়, স্থানীয় সময় রবিবার আনুমানিক রাত দেড়টার দিকে নাদলাক-২ সীমান্তে একটি মালবাহী লরিতে লুকিয়ে থাকা ৫২ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।

গাড়িটির ২৬ বছর বয়সী রুমানীয় চালক রুমানিয়া-ইতালি রুটে ফ্রিজ বহন করার তথ্য দিয়েছিলেন। অভিবাসীদের সবার বয়স ২০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে এবং তারা বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের নাগরিক বলে শনাক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। তারা লরিতে লুকিয়ে পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলোতে পৌঁছনোর চেষ্টা করছিলেন। তাদের সবাই বৈধ কাজের ভিসায় রুমানিয়ায় আসেন।
রবিবার প্রকাশিত আরেকটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সীমান্ত পুলিশ জানায়, একটি ট্রাক ও একটি কোচের ভেতর থেকে ৩৪ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা অনিয়মিতভাবে সীমান্ত পাড়ি দিতে চেয়েছিলেন। প্রথম গাড়িটি ছিল একটি বিশেষভাবে সাজানো ট্রাক। লিথুয়ানিয়ার এক নাগরিক গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।

সেখান থেকে ২৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে উদ্ধার করে আটক করা হয়। তাদের সবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে রুমানিয়া এসেছিলেন।
বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, দ্বিতীয় গাড়িটি একটি যাত্রীবাহী কোচ। সেখান থেকে শ্রীলঙ্কা ও ভারতের ১০ জন নাগরিককে শনাক্ত করা হয়। গাড়িটি একজন ইউক্রেনীয় নাগরিক ও একজন ভারতীয় নাগরিক পালা করে চালাচ্ছিলেন।

প্রাথমিকভাবে তারা রুমানিয়া-স্পেন রুটে পণ্য পরিবহনের তথ্য দিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযুক্তরা সেটির পরিবর্তে অভিবাসী পাচারে যুক্ত হয়েছিলেন।
অভিযানে আটক চালকদের বিরুদ্ধে অভিবাসী পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে সীমান্ত পুলিশ জানিয়েছে। পাশাপাশি সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে আটক হওয়া অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সীমান্ত অতিক্রম করার অভিযোগ তদন্তাধীন।

রুমানিয়া দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপের মুক্ত চলাচলের অঞ্চল শেঙেন জোনে প্রবেশের জন্য চেষ্টা করে আসছে। শেঙেন জোনে ঢুকতে মরিয়া রুমানিয়া তাই সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা বজায় রেখে ইইউর দেশগুলোর সম্মতি পেতে চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে এনজিও ও অভিবাসন বিষয়ক সংস্থাগুলো। ২০২২ সালের শেষদিকে ক্রোয়েশিয়ার আবেদন গ্রহণ হলেও বাতিল হয়েছে রুমানিয়া ও বুলগেরিয়ার আবেদন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শর্তপূরণে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন ভিসা নিয়ে আসা অভিবাসীদের ওপর বেশ কড়া নজরদারি রাখে রুমানিয়া।