রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি সামলানো কঠিন হবে: জিএম কাদের
বিশেষ সংবাদদাতা :
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর-৩ (সদর ও সিটি করপোরেশন) আসনের সংসদ সদস্য জিএম কাদের বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এ নিয়ে দিন দিন মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তে থাকলে সরকারের পক্ষে পরিস্থিতি সামলানো কঠিন হতে পারে। তাই এদিকে সরকারকে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি।
রোববার সকালে রংপুর নগরীর সেনপাড়ার স্কাই ভিউ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্য লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে। এটা যে বাড়বে তা অনেক দিন ধরেই অর্থনীতিবিদরা বিশ্লেষণ করে বলে আসছিলেন। নির্বাচনের পর থেকে ধীরে ধীরে অর্থনীতির পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকে। এর প্রভাব জনজীবন ও রাজনীতিতে পড়তে পারে। সরকারকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু ধারা ও সুশাসনের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা সব মানুষের আকাঙ্ক্ষা থাকে। মানুষ এজন্য দল ও রাজনীতি করে। জাতীয় পার্টির কিছুটা হলেও সুশাসনের অতীত ঐতিহ্য রয়েছে। আমাদের সেই সময়কার কথা স্মরণ করে আবারো রাজনীতিতে সোনালি দিন ফিরে আসুক- তা মানুষ আশা করে। সামনের দিকে সেই প্রত্যাশা পূরণে আমরা রাজনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচনের সময় নির্বাচনি এলাকার মানুষ আমার কাছে নানা বিষয়ে দাবি জানিয়েছিলেন। আমি শপথ গ্রহণের পর রংপুরে এসেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। অনেক প্রকল্প তৈরির কাজ চলছে। ধীরে ধীরে তা বাস্তবায়ন হবে। লাহিড়ীরহাটে রংপুর সদর উপজেলা দপ্তর নির্মাণের কথা চলছে। মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলেই কাজ শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, এ নির্বাচনে আমার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী তৃতীয় লিঙ্গের আনোয়ারা ইসলাম রানীর সঙ্গে হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে সাক্ষাৎ হলো। তার অনেক স্বপ্নের কথা শুনলাম। তিনি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে মূলধারায় আনতে কাজ করতে চান। আমিও চাই তারা সমঅধিকার লাভ করুক। এ নিয়ে আমি তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার কথা বলেছি।
জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব রক্ষায় রংপুরের মানুষ বড় ভূমিকা পালন করেছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতি ভালোবাস ছিল। রংপুরের মানুষের ঋণ পরিশোধ করা জাতীয় পার্টির জন্য কঠিন। তারা আমাদের অন্তরে লালন করেন। আমি জীবনের একটি প্রান্তে চলে এসেছি। তাই রংপুরের মানুষের উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাব।
এ সময় জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, জেলার সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি জাহেদুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাসদুন নবী মিলন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদ নবী মুন্নাসহ রংপুর মহানগর, জেলা ও বিভিন্ন জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।