মৃত্যুর ১৫ বছর পরও অক্ষত মরদেহ, রংপুরে চাঞ্চল্য
পোস্ট ডেস্ক :
রংপুরে মৃত্যুর ১৫ বছর পরও কবরে মিলল অক্ষত মরদেহ। কাফনের কাপড়টুকুতেও লাগেনি সামান্য দাগ! চারপাশ চিকচিক করছিল বালু। বিরল এ ঘটনাটি ঘটেছে রংপুর মহানগরীর মাহিগঞ্জ থানার নব্দীগঞ্জ গোদা শিমলা এলাকায়। এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য। শুনেই ঘটনাস্থলে ভিড় জমিয়েছেন শত শত মানুষ। পরে অবশ্য পুনরায় দাফন করা হয় মরদেহটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রংপুর-কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে রংপুর মহনগরীর নব্দীগঞ্জ গোদা-শিমলা এলাকায় গ্যাসের সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ কাজ চলছিল। এ কারণে সেখান থেকে কয়েকটি কবর স্থানান্তরের উদ্যোগ নেন স্বজনরা। দুদিনে ৪টি কবর স্থানান্তরের পর আরেকটি কবর খুঁড়তেই ঘটে ওই আশ্চর্যজনক ঘটনা। দেখা যায়, অক্ষত অবস্থায় ধবধবে সাদা কাপড় দিয়ে মোড়ানো আছে মরদেহটি।
স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, ২০১০ সালে সেখানে দাফন করা হয় আব্দুস সামাদকে। দীর্ঘ ১৫ বছরের সেই পুরোনো কবরটি স্থানান্তর করতে গিয়ে এ ঘটনা দেখে অবাক তারা।
তারা বলেন, ১৫ বছর আগে আমরা তাকে যেভাবে দাফন করেছিলাম, ঠিক ওই অবস্থায় তার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, লাশের হাত-পায়ের সামান্যতম পরিবর্তন হয়নি।
দ্বিতীয়বার মৃত আব্দুস সামাদকে অবিকল দেখতে পেয়ে অবাক স্বজনসহ গ্রামবাসী।
জানা গেছে, ১২৩ বছর বয়সে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয় কৃষক আব্দুস সামাদের। তিনি আট ছেলে ও চার কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। ইতোমধ্যেই তার দুই ছেলে ও এক মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে চাঞ্চল্যকর এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সেখানে ভিড় জমান আশপাশের এলাকার মানুষও। তারা জানান, পরহেজগার মানুষ ছিলেন আব্দুস সামাদ। এলাকার সবচেয়ে জনহিতকর মানুষ হিসেবে খ্যাতি ছিল তার। ছিলেন তাবলিগ জামাতের সঙ্গে যুক্ত। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে দিতেন ইসলামের দাওয়াত।
হজের ইহরামের কাপড় দিয়ে আব্দুস সামাদকে কবরে সমাহিত করা হয়েছিল জানিয়ে তার এক ছেলে বলেন, ‘বাবার দেহের কোথাও কোনো পচন ধরেনি। এমনকি কাফনের কাপড়ও নষ্ট হয়নি। তাকে কোনো কিছুই স্পর্শ করেনি। যেভাবে তাকে কিবলামুখী করে রেখেছিলাম সেভাবেই পাওয়া গেছে। তার দেহের সবকিছুই স্বাভাবিক মনে হয়েছে। শুধু চামড়াটা শুকিয়ে গেছে। আলহামদুলিল্লাহ, এটা বান্দার প্রতি আল্লাহর অশেষ রহমত ছাড়া আর কিছুই নয়’।