বিশ্বের নজর এখন বাংলাদেশের দিকে

Published: 28 July 2024

বিশেষ সংবাদদাতা :


আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, সারাবিশ্বের গণমাধ্যম, মানবাধিকার কর্মী সবার দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের দিকে। এতোদিন ইসরাইলী বর্বর বাহিনীর হত্যাযজ্ঞে গাজার দিকে সবার দৃষ্টি থাকলেও সে লেন্স এখন ঘুরেছে ঢাকার দিকে। ঢাকাসহ বাংলাদেশে কী হচ্ছে সে খবর গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থিমিত কিন্তু রাতে কারফিউ চলছে। ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় সেনাবাহিনী প্রহরা দিচ্ছে; অথচ সন্ধ্যা নামলেই শুরু হয় গ্রেফতার আতঙ্ক। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ভাগ করে ‘ব্লক রেইড’ দেয়া হচ্ছে। প্রতি রাতেই গ্রেফতার করা হচ্ছে বিএনপি, জামায়াত এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের। প্রতিদিন নতুন নতুন মামলা দায়ের এবং গ্রেফতার চলছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সারাদেশে সাড়ে ৫শ’ মামলা এবং সাড়ে ৬ হাজার গ্রেফতারের তথ্য পাওয়া গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও প্রতিদিন হাসপাতালে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। পুলিশের রাবার বুলেট ও গুলিতে কোটা আন্দোলনের বহু শিক্ষার্থী চোখ হারিয়েছেন। এখনো শরীরে গুলির আঘাত নিয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন হাজারো শিক্ষার্থী। ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের স্ত্রী মারিয়া নূর বলেছেন, ‘আমি ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাতের বর্বরতা দেখিনি, সেটা বইয়ে পড়েছি। কিন্তু এবার কালো রাতের বর্বরতা দেখলাম। রাজধানী ঢাকার মানুষের কাছে প্রতিটি রাত এখন ‘কালো রাত’।

রাজধানী ঢাকা এখন কার্যত আতঙ্কের নগরী। কখন কাকে গ্রেফতার করা হবে তা বলা দুষ্কর। কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নিয়ে গ্রেফতার ও পুলিশি হয়রানির আতঙ্কে বহু শিক্ষার্থী এখনো ঘরছাড়া। আন্দোলনে সরাসরি অংশ না নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমর্থন জানানো শিক্ষার্থীরাও ভয়ে থাকেন। সূর্য্য ডোবার পর রাত নামলেই রাজধানীতে নেমে আসে ঘনঅন্ধকার। যাদের ঘরে ১০ থেকে ২৫ বছর বয়সী ছেলে রয়েছেন সে ঘরের বাবা-মায়েরা থাকেন চরম আতঙ্কে।

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন) (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা, নাশকতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দেশব্যাপী যৌথ অভিযান ব্লক রেইড চলছে। অভিযানে যেন নিরীহ কোন মানুষ গ্রেফতার বা হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশকে পুলিশ সদর দফতর থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ‘আন্দোলন ঠেকাতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট’ ঘোষণার পর ছাত্রলীগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত শত শত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে ছাত্রলীগ হামলা করে দুই দফায়। ওই সময় বাইরে পুলিশ প্রহরা ছিল। অতঃপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগকে বিতারিত করে। উত্তাল হয়ে উঠে সারাদেশ। কয়েকদিন ধরে শিক্ষার্থীদের ওপর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলি ও নির্যাতন শুরু হলে তারাও প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ সময় সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ রয়েছে অভিযোগ তুলে বিএনপি-জামায়াতের দিকে আঙ্গুল তোলেন। তবে দেশে ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা ছাড়া যে কোনো ঘটনা ঘটলে তার জন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঘটনার জন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে গণগ্রেফতার চলছে। সহিংসতার দায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর উপর চাপিয়ে প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী, ডাক টেলিযোগাযোগ তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বক্তব্যে ‘শিক্ষার্থীরা কোমলমতি’ শব্দটি ব্যবহারের ওপর জোর দেন। তারা বলেন, ‘কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সহিংসতায় জড়িত থাকতে পারে না’। অথচ আন্দোলন স্থিমিত হওয়ার পর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের গ্রেফতার চলছেই। কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে আবার নির্যাতন করে ছেড় দেয়া হচ্ছে। আবার হাসপাতাল থেকে নিরাপত্তা দেয়ার নামে গ্রেফতার করা হচ্ছে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এমন আচরণে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সরকারের দায়িত্বশীলদের কথা ও কাজের মধ্যে মিল নেই। এখন গণহারে মামলা দেয়া হচ্ছে। আবার সরকারের পক্ষ থেকে এটাও বলা হচ্ছে যে যারা সহিংসতা করেছে জনগণ যেন তাদের চিনিয়ে দেয়। তাহলে সরকার কিসের ভিত্তিতে এই মামলাগুলো দিচ্ছে? আমরা যেমন একটা সাঁজোয়া যানের ভেতর থেকে একটা বডি ফেলে দিতে দেখলাম। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করতে দেখলাম। সেখানে যদি গ্রেপ্তার হতো, বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো তাহলে হয়তো জনমনে স্বস্তি আসত। কিন্তু ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কখনো পরিস্থিতি পুরোপুরি সামলানো গিয়েছে, সেটা আমার জানা নেই। ইতিহাস অন্তত তা বলে না।

জানা যায়, রাতে কারফিউ জারী থাকছে। সেনাবাহিনীর টহর চলছে। এর মধ্যে প্রতিরাতেই গ্রেফতার চলছে। যখন কোনো এলাকায় ব্লক রেইড করা হয় তখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শত শত সদস্য গিয়ে প্রথমে এলাকা ঘিরে ফেলেন। ওই এলাকা থেকে কেউ যেন বের হয়ে যেতে না পারেন, এ জন্য সব পথে তারা অবস্থান নেন। এরপর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এটাই হলো ‘ব্লক রেইড’। এমনো অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এতে করে বাসাবাড়িতে ক্রমাগত তল্লাশি ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক মামলায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন অধিকাংশ শিক্ষার্থী। যদিও কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা ও পুলিশি হয়রানি করা হবে না বলে প্রচার করছে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। পুলিশের দাবি, কোটা সংস্কার আন্দোলনে শান্তিপূর্ণভাবে অংশ নেওয়া কোনো শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার কিংবা হয়রানি করা হচ্ছে না। আন্দোলনে যারা সহিংসতায় জাড়িয়েছেন, বিভিন্ন স্থাপনা ও পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছেন এমন ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন প্রধান সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে ফের গ্রেফতার রকা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ জন শিক্ষক গতকাল তাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে দেখা করতে দেয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসারত শিক্ষার্থীদের তুলে আনা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা থেকে শুরু করে সবকিছু নিয়েই আমরা উদ্বিগ্ন।’ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক সাইমুম রেজা তালুকদার বলেন, ‘ছাত্রদেরকে নিরাপত্তার কথা বলে তুলে আনা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে ডিবি হেফাজতে কেন?’

মন্ত্রীরা ‘কোমলমতি শিক্ষার্থী’দের হয়রানি করা হচ্ছে না দাবি করলেও বাস্তবতা হলো হয়নারি চলছে। প্রতিদিন আদালতে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে তোলার সময় দেখা যাচ্ছে রিমান্ডে নিয়ে তাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা নিজে হাটতে পারছেন না, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় হাটছেন। এসব ঘটনার সচিত্র প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে প্রতিদিন প্রচার করা হচ্ছে। কাতারের আল জাজিরা, নিউইয়র্ক টাইমস, অষ্ট্রেলিয়ার এবিসি, ভারতের দ্য টেলিগ্রাফ, দ্য হিন্দু, পাকিস্তানের ডন, ইংল্যান্ডের বিবিসি, জার্মানির ডয়সে ভেলে, আমেরিকার ভয়েস অব আমেরিকা, ফরেন পলিসিসহ সুপরিচিত এবং কম পরিচিত সব গণমাধ্যম গুরুত্বসহকারে খবর প্রকাশ করছে। দেশের টিভিগুলোতে ভয়াবহ দৃশ্য প্রচার করা না হলেও বিদেশে গণমাধ্যমগুলোর খবর দেখে বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী শিক্ষার্থী ও শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছেন। তারা বাংলাদেশে রেমিট্যান্স না পাঠানোর প্রচারণা চালাচ্ছেন। ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি দূতাবাসগুলো বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করছে। বিশেষ করে ১৮ থেকে ২৩ জুলাই ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখাকে আন্তর্জাতিক মহল সন্দেহের চোখে দেখছেন। আন্তর্জাতিক ‘ইন্টারনেট সোসাইটি’র বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো খবর প্রচার করেছে, বাংলাদেশে ১৮ থেকে ২৩ জুলাই ইন্টারনেট পুরোপুরি বন্ধ ছিল। পরে সীমিত ভাবে খুলে দেয়া হয়। সে সব দেশে গণতন্ত্র সুসংহত নয়, এমন দেশগুলোতে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা সম্ভব। গত বৃহস্পতিবারও বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ১৪০ জন শিক্ষাবিদ, লেখক ও বুদ্ধিজীবীরা বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘটিত সহিংসতা ও বর্তমান ঘটনাপ্রবাহে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার টুর্ককে চিঠি দিয়েছেন। তারা বাংলাদেশের ঘটনায় একটি স্বাধীন তদন্ত পরিচালনার জন্য চাপ প্রয়োগের অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবারও ‘প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের’ ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে দেশের বিশিষ্টজনেরা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের হত্যাকাণ্ড জাতিসংঘের মাধ্যমে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, ‘সরকারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি থেকে শুরু করে মন্ত্রী এমপিদের বক্তব্য আচরণে মনে হচ্ছে এদের কাছে মানুষের জীবনের চেয়ে রাষ্ট্রীয় স্থাপনার মূল্য বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের মন্ত্রীরা বারবার বলছেন, বিএনপি ও শিবিরের কর্মীরা গত পাঁচ দিনে জ্বালাও-পোড়াও ও ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি চালিয়েছে। এছাড়া নিজের বক্তব্যে পুলিশ নিহত হওয়া এবং ছাত্রদের হাতে ছাত্রলীগের কিছু কর্মীর হেনস্থা হওয়ার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ছাত্রদের মৃত্যুর ব্যাপারে তিনি কোনো শব্দ উচ্চারণ করেননি। আর কারফিউ জারী করে সেনাবাহিনীকে রাস্তায় প্রহরায় রেখে যে ভাবে গণগ্রেফতার ও জুলুম নির্যাতন চলছে তাতে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহল, দাতাদেশ ও সংস্থাগুলোকে এ চিত্র দেখা উচিত।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানের নাজুক পরিস্থিতি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও এর একটি আন্তর্জাতিক প্রভাব রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার নির্ধারিত স্পেন ও ব্রাজিল সফর বাতিল করতে হয়েছে। বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো জাতিসংঘ, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, জার্মানি, কানাডা, ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন দলের তিনজন এমপি, যুকরাষ্ট্রের একজন সিনেট সদস্যসহ বিশ্বের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি বর্তমান ঘটনাবলি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বা মন্তব্যও করেছে। তাদের মতে, বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এমন দেশগুলো বর্তমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ওই দেশগুলো বাংলাদেশের গণতন্ত্র, সামাজিক কাঠামো, জটিল সমস্যা সমাধানে সরকারের সক্ষমতা, অর্থনৈতিক সম্ভাবনা, বিনিয়োগের নিশ্চয়তাসহ চ্যালেঞ্জগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করছেন। তাদের বিচার-বিশ্লেষণ এই মুহূর্তে তেমনভাবে প্রকাশ না পেলেও ভবিষ্যৎ ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক পরিস্থিতির আলোকে তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে ওইসব দেশের অবস্থান স্পষ্ট হবে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সংবিধান বিশেষজ্ঞ শাহদীন মালিক বলেছেন, আমরা তো একটা অগণতান্ত্রিক ও কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থার ভেতর আছি। এ ধরনের ব্যবস্থায় যারা ক্ষমতায় থাকে তারা সবসময় মানুষকে দমন-পীড়নের মাধ্যমে দমিয়ে রাখতে চায়। অগণতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রের চরিত্র এমনই।