বগুড়ায় সংঘর্ষে ‘গুলিবিদ্ধ’ হয়ে যুবক নিহত

Published: 4 August 2024

বিশেষ সংবাদদাতা :


বগুড়ায় চলমান অসহযোগ আন্দোলনে ‘গুলিবিদ্ধ’ হয়ে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের তিন নম্বর রেল গুমটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলন পালনে সকাল ১০টার দিকে দুপচাঁচিয়া উপজেলার সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ থানার মধ্যে অবস্থান নিলে আন্দোলনকারীরা থানার গেট ভাঙচুরের চেষ্টা করে। সে সময় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে ১২ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই যুবক নিহত হয়েছেন। আমরা ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠিয়েছি। এছাড়া আরও ৯জন আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এদের কেউ গুলিবিদ্ধ আবার অন্য কিছুতে আঘাতপ্রাপ্ত।

এদিকে, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ জানান, ওই হাসপাতালেও একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। তিনি গুলিবিদ্ধ ছিলেন কি না এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আন্দোলনকারী ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা আজকের কর্মসূচিতে হাজারো শিক্ষার্থী-জনতা রাস্তায় রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন। মিছিল-স্লোগানে সাতমাথা এলাকা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনকারীরা অবরোধ করে রেখেছেন ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের বাঘোপাড়া, মাটিডালি, মাঝিড়া বন্দরসহ বেশ কিছু এলাকায়। পুলিশ বিনা উসকানিতে ছাত্র-জনতার ওপর মুহুর্মুহু গুলি ও কাঁদানের গ্যাসের শেল ছুড়েছে। এতে বহু শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।