নরসিংদীর মাধবদীতে সংঘর্ষে চেয়ারম্যনসহ ৬ জন নিহত

Published: 4 August 2024

বিশেষ সংবাদদাতা :

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সরকারবিরোধী অসযোগের মধ্যে নরসিংদীর মাধবদীতে শহরে আওয়ামী লীগের ছয় নেতাকর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরের দিকে শহরের মাধবদী পৌরসভা সংলগ্ন বড় মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, দুপুর দেড়টার দিকে আন্দোলনকারী ও মাধবদীর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে তা গোলাগুলিতে রূপ নেয়। হঠাৎ আওয়ামী সমর্থকদের গুলি উপেক্ষা করে তাদের ওপর চড়াও হলে আওয়ামী সমর্থকরা দৌড়ে পালাতে থাকে। এ সময় ৬ জন আওয়ামী সমর্থক দৌড়ে মাধবদী বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম দিকের বড় মসজিদে আশ্রয় নেয়। আন্দোলনকারীরা মসজিদ থেকে ধরে বের করে এনে মসজিদের সামনেই এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ঘটনাস্থলেই ছয় জনের মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।

নিহতরা হলেন- চরদিগলদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন (৪০), নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের ছোট ভাই যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন (৩৮), জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শ্রমিক লীগ নেতা মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া ওরফে নাতি মনির (৪২), শ্রমিক লীগ নেতা আনিছুর রহমান সোহেল (৪০), মাধবদী পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নওশের (৪০) ও অজ্ঞাত আরও একজন।

উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারের খালাত ভাই আল আমিন বিকালে বলেন, আমার আপন খালাত ভাই দেলোয়ার হোসেনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। আরও কয়েকজনকে ওরা হত্যা করেছে।

সদর উপজেলা ও মাধবদী শহর আওয়ামী লীগের অন্তত দুজন নেতা বিকালে বলেছেন, লাশগুলো মাধবদী শহরের বড় মসজিদের অজুঘরের পাশের রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনকারীরা সকাল থেকেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মাধবদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন। আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পৌরসভার সামনের এসপি ইনস্টিটিউশনের অবস্থান নিয়েছিলেন।

হঠাৎ করেই আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে মাধবদী শহরের ভিতরে প্রবেশ করতে থাকেন। তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেয়।

ধাওয়া খেয়ে আন্দোলনকারীরা প্রথমে সরে যায়। কিন্তু পরে তারা আরও লোক নিয়ে এসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পিছু হটে। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের অন্যরা সরে যেতে পারলেও ছয়জন আটকা পড়েন। তাদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা হয়।