নৈরাজ্য কোনো সমাধান হতে পারে না: তারেক রহমান

Published: 7 August 2024

বিশেষ সংবাদদাতা :


হামলা-সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, নৈরাজ্য কোনো সমাধান হতে পারে না।আপনারা আপনাদের প্রতিবেশী, তারা যে ধর্মেরই হোক না কেন, তাদের নিরাপত্তায় ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।

বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নৈরাজ্য কোনো সমাধান হতে পারে না। আমাদের বিশ্বের সঙ্গে তাল দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্র সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে মেধার সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করতে হবে।

দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, কেউ দয়া করে নিজের হাতে আইন তুলে নেবেন না। বিচারের ভার নিজ হাতে দয়া করে নেবেন না। হিংসা, বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসা নয়, দায়িত্বশীলতা ও মানবাধিকারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপরাধ করতে চাইলে তাকে ধরে আইনের হাতে সোপর্দ করুন।

তারেক রহমান বলেছেন, স্বাধীনতা প্রিয় মানুষ স্বাধীনতার রক্ষায় কোনো শর্ত মানে না। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে ২০২৪ সালে দেশের জনগণ দেখেছে এক নতুন স্বাধীনতা। দয়া করে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, দেশের চলমান অর্জনকে নষ্ট করতে ষড়যন্ত্র চলছে। ধর্ম, বর্ণ, পরিচয় এর ঊর্ধ্বে উঠে সবাইকে নিরাপত্তা দিতে হবে। যে যেখানে বসবাস করছে সেখানে ধর্মীয় পরিচয় যাই হোক না কেন সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। বাংলাদেশের ভূখণ্ডে দাঁড়িয়ে সব জনগণের পরিচয় একটি সবাই বাংলাদেশি। পুলিশ জনগণের শত্রু নয়। বিনা ভোটে নির্বাচিত শেখ হাসিনা পুলিশকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে বাধ্য করেছে। শেখ হাসিনা পালানোর পর একটি চক্র পুলিশের মনোবল ভাঙতে চেষ্টা চালাচ্ছে। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। বিএনপির নামে কেউ যদি অপকর্ম করতে চায় তাকেও আইনের হাতে তুলে দিন। কেউ যদি নিয়ম ভঙ্গ করে তার বিরুদ্ধেও পুলিশের কাছে অভিযোগ বাতিল করুন। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। বিচারের ভার দয়া করে নিজ হাতে তুলে নেবেন না। অতএব সমালোচনা বা নৈরাজ্যের সমাধান নৈরাজ্য হতে পারে না। প্রশাসনকে সময়োপযোগী করে গড়ে তোলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, নিয়োগ বা প্রমোশনে মেধা সর্বাধিকার অগ্রাধিকার থাকতে হবে। উন্নয়নে বৈদেশিক নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে। দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকার সমস্যা সমাধান করতে হবে। সবার জন্য সুবিচার নিশ্চিত করতে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা স্থানান্তর করতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশের তরুণদের জন্য একটি নিরাপদ দেশ গড়ে তুলতে পারবো।

তারেক রহমান বলেন, পুলিশ জনগণের শত্রু নয়। বিনা ভোটে নির্বাচিত শেখ হাসিনা পুলিশকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে বাধ্য করেছে। শেখ হাসিনা পালানোর পর একটি চক্র পুলিশের মনোবল ভাঙতে চেষ্টা চালাচ্ছে। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশের চলমান অর্জনকে নষ্ট করতে ষড়যন্ত্র চলছে। ধর্ম, বর্ণ, পরিচয় এর ঊর্ধ্বে উঠে সবাইকে নিরাপত্তা দিতে হবে। যে যেখানে বসবাস করছে সেখানে ধর্মীয় পরিচয় যাই হোক না কেন সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। বাংলাদেশের ভূখণ্ডে দাঁড়িয়ে সব জনগণের পরিচয় একটি, সবাই বাংলাদেশি।

তিনি বলেন, বিএনপির নামে কেউ যদি অপকর্ম করতে চায় তাকেও আইনের হাতে তুলে দিন। কেউ যদি নিয়ম ভঙ্গ করে তার বিরুদ্ধেও পুলিশের কাছে অভিযোগ দিন। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। বিচারের ভার দয়া করে নিজ হাতে তুলে নেবেন না। অতএব সমালোচনা বা নৈরাজ্যের সমাধান নৈরাজ্য হতে পারে না। প্রশাসনকে সময়োপযোগী করে গড়ে তোলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

তারেক রহমান বলেন, নিয়োগ বা প্রমোশনে মেধা সর্বাধিকার অগ্রাধিকার থাকতে হবে। উন্নয়নে বৈদেশিক নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে। দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকার সমস্যা সমাধান করতে হবে। সবার জন্য সুবিচার নিশ্চিত করতে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা স্থানান্তর করতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশের তরুণদের জন্য একটি নিরাপদ দেশ গড়ে তুলতে পারবো।

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করা ছাত্র-জনতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ পরাজিত হতে পারে না। কোনো অপশক্তি বাংলাদেশকে দমিয়ে রাখতে পারবে না।

তারেক রহমান বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে যত মানুষের সঙ্গে আমি কথা বলেছি, সবাই বলেছে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এই দেশকে স্বাধীন করতে গিয়ে সাঈদ-মুগ্ধসহ অসংখ্য মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। শিক্ষার্থী-সাধারণ মানুষ- রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা প্রাণ দিয়েছেন। তারা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে যে যে ধর্মে বিশ্বাস করুন, তাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। সবাই তাদের নিরাপত্তার জন্য ঢাল হয়ে দাঁড়াবেন।