চট্টগ্রামে টানেল থেকে সরানো হলো বঙ্গবন্ধুর নামফলক

Published: 8 August 2024

বিশেষ সংবাদদাতা, ঢাকা :


চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের গেটসহ বিভিন্ন স্থান থেকে সরানো হলো বঙ্গবন্ধুর নাম।

টানেল কর্তৃপক্ষই উদ্যোগ নিয়ে বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে এই কাজ করেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে এই কাজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে টানেল কর্তৃপক্ষ স্কেভেটর দিয়ে টানেলের মূল ফটক থেকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ নামটি মুছে দেয়। পাশাপাশি আরও বিভিন্ন জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দিয়েছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সোমবার শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর ছাত্র-জনতার একটি মিছিল টানেলের ভেতরে ঢুকে নাম পরিবর্তনের জন্য জানায়। এরপর দুই দিন টানেলের টোল বক্সে কর্তৃপক্ষের কোনো লোককে দেখা যাইনি। এ সময় টানেল দিয়ে মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের গাড়ি বিনা টোলে যাতায়াতও করে।

থেকে যথারীতি টোল আদায়ের মাধ্যমে গাড়ি চলাচল শুরু করে। এর আগে টানেলে প্রধান ফটকে কর্মরত ব্যক্তিরা এক্সকাভেটর দিয়ে বঙ্গবন্ধুর নাম সরিয়ে নিতেও দেখা যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টানেলের সহকারী প্রকৌশলী (টোল ও ট্রাফিক) তানভীর রিফাত। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেলের নাম পরিবর্তন করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। টানেলের নিরাপত্তার স্বার্থে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে বঙ্গবন্ধুর নাম ফলকটি মুছে ফেলা হচ্ছে।

২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং টানেল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কর্ণফুলী নদীর দুই তীর সংযুক্ত করে চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে টানেলটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত বছরের ২৮ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন টানেলটি। পরদিন থেকে যানচলাচলের জন্য টানেল খুলে দেওয়া হয়।

ছাত্রজনতার প্রতিরোধের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এদিন রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দিয়ে বোন শেখ রেহেনাকে সঙ্গে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে উড়াল দেন তিনি। সোমবার দুপুরে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও সমর্থকদের বাসায় হামলা হতে থাকে।