মতিঝিলে ইসলামী ব্যাংকের সামনে গোলাগুলি, ৫ কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ

Published: 11 August 2024

বিশেষ সংবাদদাতা :


ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গুলির ঘটনা ঘটেছে। কয়েকশো বহিরাগত জোর করে ইসলামী ব্যাংকে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এসময় প্রবেশে বাধা দিলে কর্মকর্তাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়। এতে পাঁচ ব্যাংক কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

রোববার (১১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর মতিঝিলের দিলকুশায় ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

 

এসময় ইসলামী ব্যাংকের গোডাউন গার্ড (ডিজি) শফিউল্লাহ সরদার, অফিসার মামুন, আব্দুর রহমান ও বাকী বিল্লাহসহ পাঁচ কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হন।

ইসলামী ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, সকালে তারা ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারের সামনে অবস্থান নেন। তারা জামানতবিহীন, অনিয়ম করে লোন কেলেঙ্কারির প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় আকস্মিকভাবে এস আলম গ্রুপের হয়ে কাজ করা কয়েকজন কর্মকর্তাসহ প্রায় শতাধিক লোক অস্ত্র নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তাদের প্রবেশে বাধা দিলে বহিরাগতরা অস্ত্র বের করে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। এসময় পাঁচ কর্মকর্তা আহত হন। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। পরে উপস্থিত কর্মকর্তারা পাল্টা ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।

বিক্ষোভকারীরা জানান, সরকার পতনের পরও বিভিন্ন উপায়ে ঋণের নামে অর্থ বের করে নেওয়ার চেষ্টা করছে এস আলম গ্রুপের লোকজন। গত সপ্তাহে তাদের বেনামি ঋণের ৮৪৮ কোটি টাকার চেক আটকে দেওয়া হয়। প্রধান কার্যালয় ও কয়েকটি শাখার কর্মকর্তাদের সহায়তায় আরও বিপুল অংকের অর্থ বের করে নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত আছে। দ্রুত ব্যাংকটিতে সংস্কার না আনলে সঙ্কট আরও বাড়বে। ব্যাংক বাঁচাতে দ্রুত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেন তারা।

জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এস আলমের বিপক্ষে একটি পক্ষ বিক্ষোভ করছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভের মুখে গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কায়সার আলী পদত্যাগ করেছেন। ব্যাংকের আরেক ডিএমডি রেজাউর রহমানকে মারধর করেছে আইবিবিএলের লোকজন। আজও বিক্ষোভ শুরু হলে গুলাগুলির ঘটনা ঘটে।

উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালে প্রথম প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ইসলামী ব্যাংক দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ইসলামী ব্যাংক। প্রতিষ্ঠাকালে এই বেসরকারি ব্যাংকের ৭০ শতাংশ পুঁজি জোগান দিয়েছিলেন বিদেশিরা। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এস আলাম গ্রুপ ব্যাংকটি নিয়ন্ত্রণে নেয়।