কথায় কথায় ইন্টারনেট বন্ধ করা চলবে না : নাহিদ
বিশেষ সংবাদদাতা :
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, কথায় কথায় ইন্টারনেট বন্ধ করা চলবে না। ইন্টারনেট রাইটস মানবাধিকার। এটা লঙ্ঘন করা যাবে না।
রোববার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রথমবারের মত অফিস করতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহার ডিজিটাল রাইটসে পরিণত হয়েছে। এটা মানবাধিকারের বিষয়। ইন্টারনেট বন্ধ বলেন বা সেটাকে সীমিত পর্যায়ে নিয়ে আসা, এই মানবাধিকার বিষয়টা মাথায় রেখে করতে হবে। যাতে কারও মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয়, তথ্যের অবাধ প্রবাহ থাকে, সাংবাদিকসহ সবাই সত্যটি জানতে পারে। আমি আজকে চেষ্টা করবো, প্রথম দিনে, গত আন্দোলনে যে ডিজিটাল ক্র্যাকডাউন (ইন্টারনেট বন্ধ), তার তদন্তের জন্য আজকে ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, ইন্টারনেট শাটডাউনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবো না। তারুণ্যনির্ভর আইসিটি খাত গঠনে কাজ করবো। তরুণদের কথা শুনবো।
তিনি আরো বলেন, আন্দোলনের একটা মূল্য ছিল। আমি মনে করি আমাদের প্রশাসনেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে মেধা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবশ্যই জিরো টলারেন্স থাকবে।
উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, আইসিটি সেক্টরে তরুণদের কাজের একটা বড় সুযোগ রয়েছে। এখানে যারা অভিজ্ঞ তাদের সঙ্গে সংযোগ করে কাজ করতে হবে।
কাজের চ্যালেঞ্জ জানতে চাইলে তিনি বলেন, চ্যালেজ তো অনেক ধরনের আছে। আমি আশাবাদী, জনগণ যে আস্থার জায়গা থেকে প্রতিনিধিত্ব করতে পাঠিয়েছে আমরা সেটি যথাযোগ্যভাবে পালন করতে পারবো।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহার ডিজিটাল অধিকারে পরিণত হয়েছে। এটি একটি মানবাধিকারের বিষয়। বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখেই ইন্টারনেট বন্ধ বা সীমিত করতে হবে। যাতে কারও মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয় এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহ থাকে। কথায় কথায় ইন্টারনেট বন্ধ করা চলবে না। তারুণ্য নির্ভর আইসিটি খাত গঠনে কাজ করা হবে। কোনও প্রকার দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, এই আন্দোলনের মটো ছিল মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সেজন্য প্রশাসনে যারা কাজ করছে তারাও যেন মেধার ভিত্তিতে সুযোগ পায় সেই চেষ্টা করা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবশ্যই জিরো টলারেন্স নীতি বজায় থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আইসিটি সেক্টরে তরুণদের কাজের একটি বড় সুযোগ আছে। দেশে এমন তরুণ সংখ্যায়ও ব্যাপক। এখন তাদের সঙ্গে সংযুক্তি প্রয়োজন। যারা অভিজ্ঞ তাদের সঙ্গে একটি সংযোগ ঘটানো হবে। কারণ তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লবের নেতৃত্ব দিতে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম সক্ষম। শুধু প্রয়োজন তাদেরকে সেই সুযোগ করে দেওয়া।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতীকালীন সরকার শপথ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে মো. নাহিদ ইসলাম ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।