গণতন্ত্র উত্তরণ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে : মজনু

Published: 15 August 2024

বিশেষ সংবাদদাতা :


দেশবাসীকে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু বলেন, গণতন্ত্র উত্তরণের চলমান প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে সারাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র স্পষ্ট হয়ে উঠছে। তার মধ্যে ঢাকা মহানগর অত্যন্ত স্পর্শকাতর অবস্থায় রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ১নং গেইট থেকে শুরু করে সমগ্র গুলিস্তানজুড়ে বেশ কয়েকটি স্থানে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রশাসনকে শক্ত হাতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করার অনুরোধ জানিয়ে মজনু বলেন, প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। ধর্ম-বর্ণ পরিচয়ের কারণে কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকে সবার আগে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের এই নৈরাজ্যের কাছে আমরা হার মানতে পারি না।

মুসলমান, বৌদ্ধ, হিন্দু, খৃষ্টান নির্বিশেষে বিএনপির নেতাকর্মীদের বন্ধু ও পাড়া-প্রতিবেশীদের রক্ষার আহ্বান জানিয়ে রফিকুল আলম মজনু বলেন, আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বসবাসকারী প্রত্যেকটি মানুষের একটিই পরিচয় সেটি হচ্ছে, আমরা বাংলাদেশি।

পুলিশ জনগণের শত্রু নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি সভ্য এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পুলিশ অপরিহার্য। অত্যাচারি হাসিনা বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের শত্রু হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমার দল বিশ্বাস করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো প্রত্যেকে বিশ্বাস করে পুলিশের ভেতরে একটি চক্র ছাড়া অধিকাংশ পুলিশ কর্মকর্তা এবং সদস্য চাকরিবিধি মেনে, দেশের আইনকানুন মেনেই দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছে। হাসিনা পালানোর পরে বর্তমানে সুকৌশলে একটি চক্র পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। পুলিশকে অকার্যকর করে দেওয়া গেলে দেশকে অস্থিতিশীল করা সহজ। ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর মনে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করা সহজ।

মজনু আরও বলেন, গণমাধ্যমগুলো এখনও তাদের দালালীর চরিত্র বদলায়নি। শুধুমাত্র রং বদলে ফ্যাসিবাদীর সহযোগী হিসেবে তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের কৌশলী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি প্রতিদিন অসংখ্য কর্মসূচি পালন করছে। জনগণের পাশে থেকে সহযোগিতা করছে।

তিনি বলেন, বর্তমান এই সংকটময় মুহূর্তে মানুষের আতঙ্ক কাটিয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেভাবে কাজ করছি এসব কর্মসূচি প্রচারের মাধ্যমে সারাদেশের জনগণকে আশ্বস্ত করার বড় সুযোগ ছিল গণমাধ্যমসমূহের। দুর্ভাগ্যবশতঃ গণমাধ্যমগুলো কৌশলে তা এরিয়ে বরং অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরিতে ভিন্ন কৌশলে ফ্যাসিবাদের দোসরদের সহযোগীতা করছে। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই চরিত্র বদলান, মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান নতুবা সময়মত সবকিছুর জবাব একদিন দিতেই হবে জনগণকে।

এ সময় তিনি যেই অনৈতিক সুবিধা চাইবে তার রাজনৈতিক পরিচয়সহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের দফতরে কিংবা সরাসরি তার ব্যক্তিগত ফোন নম্বরে যোগাযোগ করতেও জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিব, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশীদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক, যুবদলের সাবেক সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্তসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।