রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সালমান এফ রহমান
বিশেষ সংবাদদাতা :
ছাত্র-জনতার ২৩ দিনের দেশ কাঁপানো আন্দোলনে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন শেখ হাসিনা। এরপর গণভবন থেকেই হেলিকপ্টারে দেশ ছাড়েন। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। বর্তমানে তিনি ভারতে রয়েছেন।
দেশ ছেড়ে পালানোর সময় সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তার হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তাকে নৌপুলিশ আটক করে নিউমার্কেট থানা পুলিশের হাতে তুলে নেয়। এরপর ভাইরাল হয় তার ছবি। নৌকায় তার চিরায়ত দাঁড়িহীন এবং হাত বাধা ছবি, পরনে গেঞ্জি-লুঙ্গি দেখে বিস্মিত হন সবাই।
শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও ভয়াবহ বেকায়দায় পড়েছেন আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা। অনেকে সুযোগ বুঝে দেশ ছাড়তে পারলেও আটকে পড়া অনেক এমপি-মন্ত্রী ও অসংখ্য নেতাকর্মী প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের অনেকে আবার বিভিন্ন দূতাবাসে আশ্রয়ও চেয়েছেন।
ডিএমপি নিউমার্কেট থানায় দায়ের হওয়া হকার শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে। বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। তিনি এখন ডিবি হেফাজতে আছেন।
ডিএমপি সূত্র জানায়, সালমান এফ রহমান শুধু পুলিশ কেইসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শেয়ারবাজারসহ অনেক অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত তিনি। তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে হত্যা মামলার পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিষয়, বিগত সরকারের অপকর্ম ও দুর্নীতিসহ নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি অজানা অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।
বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। সালমান এফ রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় ডিবির এক কর্মকর্তা সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান দুজনের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণেই দেশের এই অবস্থা। এ সময় তিনি নির্বিকার ছিলেন।
গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, সালমান এফ রহমান মানসিক ট্রমার মধ্যে রয়েছেন। তিনি বিশ্বাসই করতে চাচ্ছেন না যে এত তাড়াতাড়ি আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে।