মোদির সঙ্গে ড. ইউনূসের ফোনালাপ, যেসব কথা হলো

Published: 16 August 2024

বিশেষ সংবাদদাতা :


ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি মোদিকে বাংলাদেশের হিন্দুসহ সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।

মোদি এ নিয়ে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) এক্সে একটি পোস্ট দিয়েছেন।

মোদি জানিয়েছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা ছাড়াও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে কথা হয়েছে।

এক্সে মোদি লিখেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূসের কাছ থেকে ফোন পেয়েছি। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। আমি একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং অগ্রগামী বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থনের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছি। তিনি আমাকে বাংলাদেশের হিন্দুসহ সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতার রোষের মুখে পদত্যাগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। এরপর ৮ আগস্ট প্রফেসর ইউনূসকে প্রধান করে বাংলাদেশে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠিত হয়। ওইদিনই প্রফেসর ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এক্সে এক পোস্টে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের উদ্দেশ্যে মোদি বলেন, নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করা প্রফেসর ইউনূসের প্রতি আমার শুভেচ্ছা। আমরা আশা করি (বাংলাদেশে) স্থিতিশীলতা ফিরবে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

তিনি আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি, উভয় দেশের নাগরিকের শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের আকাঙ্খার প্রতি বদ্ধপরিকর।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ফোনালাপ নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছে, বিভিন্ন উন্নয়ন উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণকে সহায়তা করতে ভারতের অঙ্গীকারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠীসহ সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস আশ্বস্ত করেছেন যে বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠী এবং অন্য সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে অগ্রাধিকার দেবে অন্তর্র্বতী সরকার।

দুই নেতা ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছে।