আয়নাঘর আমার সৃষ্টি না, আমি নির্দোষ : জিয়াউল আহসান
বিশেষ সংবাদদাতা :
আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া আলোচিত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান। তিনি বলেন, এ আয়নাঘর আমার সৃষ্টি না। আমি নির্দোষ।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে রিমান্ড শুনানি চলাকালে তিনি বিচারককে এসব কথা বলেন।
সচেতন নাগরিক হিসেবে মোহাম্মদ উল্লাহ্ খান জুয়েল নামে এক আইনজীবী আদালতে বলেন, আজ যে আয়নাঘরের উত্থান, এটার মূল কারিগরি এই আসামি। দেশে যত গুম খুন, এর নেপথ্যের মাস্টারমাইন্ড মেজর জিয়াউল।
এ সময় মেজর জিয়াউল আদালতে বলেন, আমি অসুস্থ, আমার হার্টের ৭৯ শতাংশ ব্লক। আমাকে নিয়মিত মেডিসিন নিতে হয়।
গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত নয় দাবি করে আদালতে জিয়াউল আহসান বলেন, যেসব ব্যক্তি আয়নাঘর থেকে বের হয়ে আসছে তাদের কেউ বলুক আমি তাদের সেখানে রেখেছি। যেভাবে আমাকে নিয়ে দোষারোপ করা হচ্ছে সেটা সঠিক নয়। আমি অসুস্থ। হার্টসহ অন্যান্য সমস্যা রয়েছে।
প্যাগাসাস সফটওয়ারের বিষয়ে আদালত জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্যাগাসাস বলে কিছু নেই। মোবাইল ট্র্যাকিং করিনি।
এ সময় আদালতে জিয়াউলের কথা বলার বিরোধিতা করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। তারা বলেন, তিনি গণহত্যার আসামি। তার কথা বলার অধিকার নেই।
আবার বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের এসব কথার তীব্র বিরোধিতা করেন জিয়াউল আহসানের বোন অ্যাডভোকেট নাজনীন নাহার। এর মধ্যেই জিয়াউল বলেন, র্যাবে থাকাকালে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা জিডি হয়নি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে খিলক্ষেত এলাকা থেকে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে তাকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) নেওয়া হয়। পরে জিয়াউল আহসানের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৬ আগস্ট তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এই তথ্য জানায়। তিনি সবশেষ ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্বে ছিলেন।