চট্টগ্রামের সাবেক এমপি এমএ লতিফ ৩ দিনের রিমান্ডে
বিশেষ সংবাদদাতা :
চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর, পতেঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফকে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম জুয়েল দেবের আদালত এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার প্রসিকিউশন এ এ এম হুমায়ুন কবির বলেন, বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আসামি এম এ লতিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডবলমুরিং থানার পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আসামিপক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের পাটোয়ারী বলেন, সকালে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার মাজার গেট এলাকা থেকে এম এ লতিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে ভোর সাড়ে ৬টায় নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
থানা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এরশাদ নামের এক ব্যক্তি গুলিতে আহত হন। এরশাদ শুক্রবার ডবলমুরিং থানায় এম এ লতিফসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় এম এ লতিফ গুলি করার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করা হয়।
৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকেই পালাতক ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ। ৯ আগস্ট শুক্রবার মাদামবিবির হাট একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গিয়ে প্রথম জনসম্মুখে আসেন তিনি। সেখানে তার বোনের বাসায় তিনি অবস্থান করছেন এমন খবর প্রচার হলে স্থানীয় জনতা সেই বাসা ঘেরাও করে। পরে সেনাবাহীনির একটি দল তাকে হেফাজতে নেয়। এর ৭ দিন পর তাকে ডবলমুরিং থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।