উপসচিব থেকে যুগ্মসচিব হলেন ২০১ কর্মকর্তা
বিশেষ সংবাদদাতা :
সরকারি ২০১ কর্মকর্তাকে উপসচিব থেকে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। পদোন্নতির পর তাদের জনপ্রশাসনের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পদোন্নতির আদেশে উল্লিখিত কর্মস্থল থেকে কোনো কর্মকর্তার দফতর বা কর্মস্থল ইতোমধ্যে পরিবর্তন হলে কর্মরত দফতরের নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে যোগদানপত্র জমা দিতে হবে।
যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা যে তারিখ থেকে কনিষ্ঠ কর্মকর্তা দ্বারা অতিক্রান্ত হয়েছেন, সেই তারিখ থেকে তাদের পদোন্নতি কার্যকর হবে এবং তারা বকেয়া আর্থিক সুবিধা পাবেন।
পরবর্তীতে কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো রকম বিরূপ বা ভিন্নরূপ তথ্য পাওয়া গেলে তার ক্ষেত্রে এ আদেশের প্রয়োজনীয় সংশোধন বা বাতিল করার অধিকার কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে।
সরকারের যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সরাসরি সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাবর অথবা ই-মেইলে (ংধ১@সড়ঢ়ধ.মড়া.নফ) অনলাইনে যোগদানপত্র জমা দিতে পারবেন।
সম্প্রতি ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সামনে আসেন প্রশাসনে বিএনপি-জামায়াত ঘরনার বঞ্চিত কর্মকর্তারা। পরদিন ৬ আগস্ট সচিবালয়ে বৈঠক করেন পদোন্নতিবঞ্চিত অন্তত ২০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী।
সভায় জ্যেষ্ঠতাসহ ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির দাবি জানান তাঁরা। এরপর তাঁরা প্রশাসনে কর্মরত বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ব্যাচভিত্তিক তালিকা তৈরি করে পদোন্নতির জন্য সচিবের দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। তাঁদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১২ আগস্ট বঞ্চিত ১১৭ জন সিনিয়র সহকারী সচিবকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, তালিকায় অন্তত ২৪৪ জনের নাম ছিল। এর মধ্যে বিসিএস ১১তম ব্যাচের ৪ জন, ১৩তম ব্যাচের ৮ জন, ১৫তম ব্যাচের ২১, ১৭তম ব্যাচের ৮, ১৮তম ব্যাচের ২২, ২০তম ব্যাচের ২১, ২১তম ব্যাচের ১০, ২২তম ব্যাচের ৮১, ২৪তম ব্যাচের ১২, ২৫তম ব্যাচের ১২, ২৭তম ব্যাচের ১৩, ২৮তম ব্যাচের ১০ জন এবং ২৯তম ব্যাচের ২২ জন রয়েছেন।
এই তালিকায় থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা উপসচিব ও যাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও দুদকের মামলা নেই দ্বিতীয় দফায় তাঁদের ২০১ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হলো।