এইচএসসির স্থগিত বিষয়গুলোর পরীক্ষা অর্ধেক নম্বরে, পেছাল আরো ২ সপ্তাহ
বিশেষ সংবাদদাতা :
২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা অর্ধেক প্রশ্নোত্তরে অনুষ্ঠিত হবে। আর ১১ সেপ্টেম্বর থেকে আরও ২ সপ্তাহ পিছিয়ে যাবে পরীক্ষার সময়সূচি।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানান, বাকি পরীক্ষাগুলোর অর্ধেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, তবে সময় একই থাকবে। সময়সূচি পিছিয়ে যাবে আরও দুই সপ্তাহ।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আগের যদি একটি বিষয়ে ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো, সেখানে এখানে চারটি প্রশ্নের উত্তর দিলেই হবে। তবে পরীক্ষার সময় পূর্ণ সময়েই থাকছে।
প্রথমে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত পরীক্ষাগুলো শুরু করার পরিকল্পনা ছিল। তবে পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে এই সময়সূচি বাতিল হতে পারে। পরীক্ষার্থীরা এরই মধ্যে নেয়া পরীক্ষার ভিত্তিতে ফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছেন, কারণ আন্দোলনের ফলে অনেকে আহত হয়েছেন এবং পড়াশোনায় ক্ষতি হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) পরীক্ষার্থীরা এই দাবিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবুল বাশার তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণের আশ্বাস দেন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পরীক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, দাবি পূরণ না হলে তারা মঙ্গলবার আবার আন্দোলন করবেন। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এর আগে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের কারণে কয়েক দফায় এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। পরীক্ষা ১১ আগস্ট থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে তা পিছিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর করা হয়েছিল। তবে এখন আবার নতুন করে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।
কারণ হিসেবে পরীক্ষার্থীরা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অনেক পরীক্ষার্থীও আহত হয়েছেন। পড়ালেখায়ও ক্ষতি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তাঁরা পরীক্ষায় বসার মতো অবস্থায় নেই। এরপরই আজ এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা অর্ধেক প্রশ্নোত্তরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলো। আর পরীক্ষা ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা আরও ২ সপ্তাহ পেছানোর সিদ্ধান্ত হলো।