মানবাধিকার রক্ষা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে জাতিসংঘ

Published: 23 August 2024

বিশেষ সংবাদদাতা :


মানবাধিকার রক্ষা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের হাইকমিশনার দপ্তরের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রোরি মুঙ্গোভেন।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে রোরি মুঙ্গোভেনের নেতৃত্বে জাতিসংঘের তিন সদস্যের কারিগরি দলটি পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

মুঙ্গোভেন বলেন, তদন্তের ধরন কেমন হবে সে বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা করতে এসেছেন তারা। এটি একটি অনুসন্ধানী সফর। কীভাবে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে তারা আলোচনা করবেন। এক সপ্তাহ ধরে সরকার, সুশীল সমাজ, মানবাধিকার সংগঠনসহ বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলবে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলটি। বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মনে করে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। আর কীভাবে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে সহায়তা করা যায়, সে বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করব সবার সাথে।
জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেন, তদন্তের ধরন কেমন হবে-সে বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা করতে এসেছিলাম আমরা। এটি একটি অনুসন্ধানী সফর। আমরা কীভাবে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে সহায়তা করতে পারি সে বিষয়ে প্রাথমিক ও প্রাক-অনুসন্ধান আলোচনা করেছি। অন্তর্র্বতী সরকার ও বাংলাদেশের জনগণের এ ঐতিহাসিক মুহূর্তে কীভাবে সহায়তা করতে পারি, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বাংলাদেশের জনগণ বিশেষ করে তরুণরা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন তাতে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার ভলকার টুর্ক অনুপ্রাণিত হয়েছেন। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং মানবাধিকারকে এগিয়ে নিতে এটিকে ঐতিহাসিক সুযোগ হিসেবে দেখছেন তিনি। এ প্রেক্ষাপটে আমরা অন্তর্র্বতী সরকার, নাগরিক সমাজ ও বাংলাদেশের জনগণকে যেকোনো ধরনের সহায়তা করতে রাজি-যোগ করেন তিনি।

বাংলাদেশে আসা জাতিসংঘের তিন সদস্যের এ প্রতিনিধি দলটি তদন্ত দল নয়, এটি একটি অনুসন্ধানী সফর এ কথা জানিয়ে রোরি বলেন, এক সপ্তাহ ধরে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, কয়েকটি মন্ত্রণালয়, সুশীল সমাজ ও মানবাধিকার সংগঠনসহ বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলব। এরপর আপনাদের চাহিদা এবং অগ্রাধিকার সম্পর্কে জানাব। এরপর হাইকমিশনারের অফিস কীভাবে সহায়তা করতে পারে, সেটি বুঝব।

জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের প্রধান আরও বলেন, ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং বিষয় নিয়েও আমরা আলোচনা করব। মানবাধিকার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং হাইকশিনারের অফিস সহায়তা দেবে বলেও জানান তিনি।