বন্যার পানি নামলেই বিদ্যুৎ লাইন চালু করা হবে : জ্বালানি উপদেষ্টা

Published: 24 August 2024

বিশেষ সংবাদদাতা :


বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুতগতিতে বিদ্যুৎ লাইন চালু করা হবে।

শনিবার (২৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া এলাকায় ৩৫ মেগাওয়াটের স্পেক্টা সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিগত সময়গুলোতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। ২০১০ সালে আইন করার মাধ্যমে কোনো প্রতিযোগিতা ছাড়াই প্রকল্প নেওয়া হতো। এর মধ্য দিয়ে খাতিরের লোকদের প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। ইচ্ছে মতো দাম বাড়ানো হতো। উদ্দেশ্য ছিল অনিয়মের মাধ্যমে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে, নানা অজুহাতে গ্রাহকের কাছে বেশি দামে বিক্রি করা।

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির বলেন, আমাদের কাছে আলাদিনের চেরাগ নেই। ১৬ বছরের অনিয়ম দুর্নীতি ১৬ দিনেই অপসারণ করা সম্ভব নয়। তবে আমরা সব সেক্টরের বৈষ্যম নিরসনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, সহসাই বিদ্যুতের দাম কমানো যাচ্ছে না। কারণ প্রতিবছর এই খাতে ৪২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। ইতোপূর্বে বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনায় এই সমস্যা হয়েছে। কমদামে বিদ্যুৎ না কেনা পর্যন্ত আমাদেরকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। বন্যা পরবর্তী সময়ের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার, স্পেক্ট্রা সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আফতাব উদ্দিন খান বাচ্চু, মানিকগঞ্জ পাওয়ার গ্রিডের নির্বাহী প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন, শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেনসহ অনেকেই।