কমেছে সবজি ও মুরগির দাম
বিশেষ সংবাদদাতা :
ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে আসা ঢলে দেশের অন্তত ১১ জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। তবে বন্যার প্রভাব ঢাকার বাজারে খুব একটা পড়েনি। বাজারে প্রায় সব পণ্যের সরবরাহ অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। এ ছাড়া কমেছে সবজি ও ব্রয়লার মুরগির দাম।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দুল প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ২৫০-২৭০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৫০ টাকা, আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা এবং কাঁকরোল প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া যেসব সবজির দাম কিছুটা বাড়তি, সেই তালিকায় বেগুন প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকায়, কচুর লতি প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা, মূলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুরমুখি প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ১৪০-১৫০ টাকা, গাজর প্রতি ১০০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা এবং কচুরলতি প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাশাপাশি বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়, শুকনো মরিচ দেশি ৪০০ টাকা, আর আমদানি করা মরিচ ৫০০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। হলুদ প্রতি কেজি ৪০০ টাকায়, দেশি আদা প্রতি কেজি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, লাল কর্ক জাতের মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায়। এছাড়া গরুর মাংস বাজারভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়, আর খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।
রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা ও এলাকাভিত্তিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজারে পাঙাস, তেলাপিয়া, চাষের কৈ-সহ সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি যাচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২৩০-২৫০ টাকায়, চাষের কৈ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৮০ টাকায়, রুই প্রতি কেজি ২৮০-৩৫০ টাকায়, কাতল প্রতি কেজি ৩২০-৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাপিলা প্রতি কেজি ৬০০ টাকায়, সরপুঁটি প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়, রুপচাঁদা প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৯০০ টাকায়, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪০০-৪৫০ টাকায়, গুলশা টেংরা প্রতি কেজি ৫০০-৬০০ টাকায়, টেংরা প্রতি কেজি ৫৫০-৬০০ টাকায়, পাবদা প্রতি কেজি ৪২০-৪৮০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬৫০-৭০০ টাকায়, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৪০০-১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সব মিলিয়ে বাজারে সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি যাচ্ছে।
বাজারে মিনিকেট চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭২ টাকায়, আটাশ চাল ৫৭-৫৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৬-৫৮ টাকা কেজি। এছাড়া জিরাশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকায়, নাজিরশাইল ৭১-৭৩ টাকা, কাটারি নাজির ৭৭-৭৯ টাকায়, কাটারি আতপ চাল ৬৬-৬৮ টাকা কেজি, চিনিগুড়া মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭৭-১১৫ টাকায়।