বোমাতঙ্ক ছড়ানোর শাস্তি হিসেবে কড়া নিয়ম আনতে চলেছে ভারত সরকার

Published: 18 October 2024

পোস্ট ডেস্ক :


বিমানে বোমাতঙ্ক কার্যত নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি সপ্তাহে এই নিয়ে ভারতের নানা প্রান্তে ২০টি উড়ানে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে। বারবার ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন আমজনতা। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, schizobomber777 নামে একটি এক্স হ্যান্ডেল থেকে বিমানে বোমা রাখা আছে বলে একাধিক পোস্ট করা হয়েছে। দিনকয়েক আগে এই হ্যান্ডেলটি তৈরি হয়। বোমাতঙ্ক ছড়ানোর পর থেকে হ্যান্ডেলটি সাসপেন্ড করা হয়েছে। বোমাতঙ্ক ছড়ানোর ঘটনায় তদন্ত করতে নেমে সরকার জানতে পেরেছে বোমাতঙ্ক ছড়াতে যে ভুয়া ফোন ব্যবহার হচ্ছে সেগুলোর নেপথ্যে রয়েছে ভিপিএন। তাই ভিপিএন সার্ভিস প্রদানকারী সংস্থাগুলোকেও তদন্তের আওতায় আনা হবে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ভুয়া ফোনের নেপথ্যে যে আইপি অ্যাড্রেসগুলো মিলেছে সেগুলো লন্ডন এবং জার্মানির। কোন আইপি অ্যাড্রেস থেকে এই ধরনের ভুয়া বার্তা ছড়ানো হচ্ছে, সেই সম্পর্কে এক্স-এর কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়েছে নয়া দিল্লি। অবিলম্বে সন্দেহভাজন বা অভিযুক্ত এক্স হ্যান্ডেলগুলি বন্ধ করার আবেদনও ভারতের তরফে জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে বোমাতঙ্ক ছড়ানোর শাস্তি হিসেবে কড়া নিয়ম আনতে চলেছে মোদি সরকার। বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ালে আজীবন বিমানযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে এবার এই বিষয়ে আইন সংশোধনীর পথে হাঁটছে বেসামরিক বিমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আইনে নতুন শাস্তির রূপরেখা ঠিক কী হবে, তা ঠিক করতে আলোচনা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, আইন মন্ত্রক এবং বেসামরিক বিমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে। এতদিন পর্যন্ত বিমানের অভ্যন্তরে অভব্য আচরণ এবং বিমানে থাকাকালীন বোমাতঙ্ক ছড়ালে নো ফ্লাই লিস্ট-এ নাম অন্তর্ভুক্তি হত। এবার বাইরে থেকে ফোন কল, সোশ্যাল মিডিয়া, বা ইমেইলের মাধ্যমে বোমাতঙ্ক ছড়ালেও বিমানযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি হবে, এমন আইন সংশোধনীর পথেই হাঁটছে সরকার।