নারীদের অংশগ্রহণ বড় ফ্যাক্টর হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে
পোস্ট ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রে কঠিনতম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি আর মাত্র দু’দিন। কে নির্বাচিত হবেন, কার জয়ের পাল্লা ভারি- তার কিছুই এখন পর্যন্ত আন্দাজ করা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে সেখানকার নারীরা যদি ব্যাপক হারে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হন এবং ভোট দেন তাহলে ফল কমালা হ্যারিসের পক্ষে যেতে পারে। কারণ, বেশির ভাগ নারীর পছন্দ তিনি। নারীরা যে ব্যাপকহারে ভোট দেবেন তার লক্ষণ দেখা গেছে অ্যারিজোনা ও মিশিগানে। সেখানে আগাম ভোট দিতে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে যাচ্ছেন যুবতীরা। তাতে কমালা হ্যারিসের মধ্যে আশার আলো দেখা দিয়েছে। যদি সারাদেশে এভাবে নারীদের উত্থান ঘটে তাহলে ফল তার পক্ষে যেতে পারে।
অস্বাভাবিক এক সকালে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের অ্যান আরবোর ক্যাম্পাসের ভোটকেন্দ্রের বাইরে অবস্থান করছিলেন কয়েক ডজন শিক্ষার্থী। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে তারা ভোট দিচ্ছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম কিলি গানোং অন্যতম। তিনি তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। কমালা হ্যারিসকে ভোট দিতে পেরে তিনি উদ্বেলিত। তিনি বলেন, কমালা ঠিক ওইরকম একজন নেত্রী যিনি আমার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন বলে আমি মনে করি। তার বান্ধবী লোলা নর্ডলিঙ্গার গর্ভপাতের অধিকারের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, সব ইস্যুর মধ্যে লিঙ্গ সমতা সবার আগে। একজন নারীর পছন্দের বিষয় হলো যা তার ব্যক্তিগত। এমন সিদ্ধান্ত অন্য কারো পক্ষ থেকে আসা উচিত নয়।
নির্বাচনের দিনের আগেই এই ক্যাম্পাসের সবাই ভোট নিয়ে আলোচনা করছেন। ২০ বছর বয়সী এই ছাত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের ভোট এই নির্বাচনে অবশ্যই একটি ব্যবধান গড়বে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে ২৪ বছর বয়সী ছাত্রী আদ্রিয়ানা পিটি বলেন, প্রচুর পরিমাণ নারীর মধ্যে উত্থান ঘটছে। তার মধ্যে এসব তরুণী, যুবতী হলেন কমালা হ্যারিসের ভোটার। হার্ভার্ড ইনস্টিটিউট অব পলিটিক্সের সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুযায়ী, ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে কমালা হ্যারিস সমর্থনের দিক গিয়ে ৩০ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন। কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনি ৩৮ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন। তবে জাতীয় পর্যায়ে ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কমালা হ্যারিস সমানে সমান এগিয়ে চলেছেন। মিশিগনের মতো সুইং স্টেটগুলোতে যদি এভাবে তরুণী বা যুবতীরা এগিয়ে আসেন তাহলে ফল ভাল হতে পারে কমালা হ্যারিসের।