আইওয়া অঙ্গরাজ্যে নারীদের সমর্থনে এগিয়ে কমালা: জরিপ
পোস্ট ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পকে ছাড়িয়ে গেছেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমালা হ্যারিস। রাজ্যটিতে কমালার পক্ষে সম্ভাব্য নারী ভোটারদের সমর্থনে ট্রাম্পকে পিছনে ফেলেছেন তিনি। যদিও ২০১৬ ও ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই রাজ্যেই বিপুল সর্মথন পেয়ে জয় পেয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে এবারের চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। জরিপের তথ্য বলছে, কমালার পক্ষে বেশির ভাগ নারী ভোটারদের সমর্থন থাকায় আইওয়া অঙ্গরাজ্যে এবার বেশ এগিয়ে আছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট। শনিবার নিজস্ব জরিপের এই তথ্য প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম দ্য ডেস মইনেস রেজিস্টার।
গণমাধ্যমটির জরিপের তথ্য উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স তার এক খবরে বলেছে যে, ২৮ থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে করা ওই জরিপে অংশ নেয় মোট ৮০৮ সম্ভাব্য ভোটার। যাতে কমালাকে সমর্থন করেছেন ৪৭ শতাংশ ভোটার। অন্যদিকে ট্রাম্পের পক্ষে ছিলেন ৪৪ শতাংশ ভোটার। আগের দুই টার্মে আইওয়াতে রিপাবলিকান প্রার্থী এগিয়ে থাকলেও এবার এই রাজ্য নিয়ে স্বস্তিতে নেই তারা। তবে গত সেপ্টেম্বরের এক জরিপে আইওয়াতে ৪ পয়েন্ট বেশি পেয়ে কমালাকে পিছনে রেখেছিলেন ট্রাম্প।
জরিপের তথ্য বলছে, কমালাকে যারা সমর্থন করেছেন তাদের বেশিরভাগই নারী। বিশেষ করে যারা বয়স্ক নারী ভোটার এবং রাজনৈতিকভাবে স্বাধীন- তারাই শেষ পর্যন্ত কমালার শিবিরে ভিড়ছে। আগের দুই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আইওয়াতে ট্রাম্পের এগিয়ে থাকার গড় বেশ ভালোই ছিল। ২০১৬ সালে ৯ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ৮ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছিলেন তিনি।
এবারও হয়তবা ট্রাম্প সে আশাই করছেন। তাইতো ডেস ময়েনসের জরিপকে অস্বীকার করেছেন তিনি। ট্রাম্প ওই জরিপে প্রকাশিত তথ্যকে ‘প্রকৃত সত্য থেকে অনেক দূরের বিষয়’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, শনিবার আইওয়ার ভোটারদের প্রকৃত অবস্থা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে এমারসন পোলিংয়ের জরিপ। নভেম্বরের প্রথম দুই দিনে এমারসন কলেজ পোলিং সমীক্ষায় উঠে এসেছে ভিন্ন চিত্র। এই জরিপ অনুযায়ী ট্রাম্প তার প্রতিপক্ষ কমালার চেয়ে অন্তত ১০ পয়েন্ট উপরে রয়েছেন। তবে এই জরিপে ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও, ৩০ বছরের কম বয়সী সম্ভাব্য ভোটারদের সমর্থনে এগিয়ে রয়েছেন কমালা হ্যারিস।
আমেরিকা জুড়ে ভোটের যে পূর্বাভাস রয়েছে তাতে দুজনই শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। হোয়াইট হাউসের দৌঁড়ে কমালা এবং ট্রাম্প দুজনেই কেউ কাউকে এক রত্তিও ছাড় দিচ্ছেন না। এখন চলছে প্রাইমারি ভোটগ্রহণ। যুক্তরাষ্ট্রে আগামী চার বছরের জন্য কে প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন তা জানতে সবাইকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।