কানাইঘাট সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে হত্যা
পোস্ট ডেস্ক :
সিলেটের কানাইঘাট লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মঙ্গলপুর আলুবাড়ি এলাকার ভারতের অভ্যন্তরে শাহেদ আহমদ নামে এক বাংলাদেশি যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া গেছে। নিহতের লাশ বিএসএফ’র সহায়তায় মেঘালয় রাজ্য পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে গেছে বলে নিহত শাহেদের স্বজনরা দাবি করেছেন। স্থানীয়রা জানান, সীমান্তবর্তী মঙ্গলপুর আলুবাড়ি গ্রামের মশাহিদ আলীর পুত্র শাহেদ আহমদ বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে কাজের উদ্দেশ্যে আরও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে অবৈধভাবে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের লাইজুড়ি এলাকায় অনুপ্রবেশ করে। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সে বাড়িতে ফিরে না এলে শুক্রবার সকাল থেকে শাহেদ আহমদের পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা তাকে খুঁজতে থাকেন।
এক পর্যায়ে তারা জানতে পারেন শাহেদ আহমদের বুকে গুলিবিদ্ধ লাশ ভারতের মেঘালয় রাজ্যের লাইজুরী বাঁশকোনা এলাকার ১৩১৯ নং পিলারের অভ্যন্তরে পড়ে রয়েছে। শাহেদ আহমদের লাশ উদ্ধারের জন্য সীমান্তবর্তী লোভাছড়া বিজিবি ক্যাম্পের শরণাপন্ন হলে আইনি জটিলতা থাকার কারণে তারা নিহতের লাশ উদ্ধার করতে পারেননি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার জানার পর তিনি বিজিবিকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেন। তবে শাহেদ আহমদের লাশ ভারতের অভ্যন্তরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়ায় সে দেশের পুলিশ লাশ তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা ধারণা করছেন- মাঝে মধ্যে ভারত থেকে অবৈধভাবে চিনি ও অন্যান্য পণ্যসামগ্রী বহনের জন্য সীমান্ত এলাকায় অনেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভারতের লাইজুরি এলাকায় গুলির শব্দ শোনা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, অবৈধ অনুপ্রবেশ করায় গভীর রাতে বিএসএফ কিংবা অস্ত্রধারী খাসিয়াদের গুলিতে শাহেদ নিহত হয়েছেন।
লোভাছড়া বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি শাহেদ আহমদ নামে এক যুবকের লাশ ভারতের অভ্যন্তরে পড়ে থাকার সংবাদ পেয়েছেন। থানা পুলিশ শাহেদ আহমদের লাশ উদ্ধারে এগিয়ে এলে বিজিবি এক্ষেত্রে বিএসএফ’র সঙ্গে যোগাযোগ করে তার লাশ আনার ব্যবস্থা করতে পারে বলে জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার জানান, ভারতের অভ্যন্তরে শাহেদ আহমদের লাশ পড়ে থাকার সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিজিবিকে জানিয়েছেন। থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, শুনেছি শাহেদ আহমদ নামে এক যুবকের লাশ ভারতে পড়ে রয়েছে। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে আসলে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শাহেদ আহমদের লাশ ফিরিয়ে আনতে পুলিশের যে ধরনের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন, সেটি আমরা করবো। নিহতের পরিবারের লোকজন ভারত থেকে শাহেদ আহমদের লাশ দ্রুত ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।