সিনহা হত্যায় এপিবিএন সদস্যের দায় স্বীকার
পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার আসামি এপিবিএন সদস্য কনস্টেবল আব্দুল্লাহ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাশ। তিনি বলেন, জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার-১৬ এপিবিএনের তিন পুলিশ সদস্যকে সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শনিবার রিমান্ডে নিয়ে যান। তাদের তিনজনের ২৮ আগস্ট রিমান্ড শেষ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু এদের মধ্যে কনস্টেবল আবদুল্লাহ ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ায় তাকে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এপিবিএন সদস্য কনস্টেবল আব্দুল্লাহ। বিকেল ৫টার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল তাকে আদালতে হাজির করেন। পরে রাত ৮টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত।
আলোচিত এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ সদস্য সাতজন, এপিবিএন সদস্য তিনজন, বাকি তিনজন মামলার সাক্ষী।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কে তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর অব. সিনহা মো. রাশেদ। ৫ আগস্ট টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ নয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। পরদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি। মামলার ১৩ আসামির সবাই কারাগারে রয়েছেন।