স্বচ্ছ ভোট হলে অনেক এমপি পালানোর দরজা পাবে না : সেতুমন্ত্রীর ভাই
পোস্ট ডেস্ক : আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌর নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, টেন্ডারবাজি, চাকরি বাণিজ্য, নানা অনিয়ম, দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
ত্যাগী সব নেতাকে দলীয় পদে স্থান দিতে হবে। আমাদের নেতা মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন দুই পিরিয়ড উপজেলা চেয়ারম্যান, অথচ তিনি সরকারের সম্মানী ভাতা নেননি, সরকারি বাড়িতেও থাকেননি। এ সৎ ও নিষ্ঠাবান নেতাকে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বানানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বসুরহাট পৌরসভার (৫, ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ড) মমিন ব্রাদার্সের বাড়ির দরজা, রামদী শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ ও হক মার্কেটের সামনে নির্বাচনী পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, দেশে ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। ভোটের অধিকার এখনও পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমি এ কথাগুলোই বলছি। বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের মাধ্যমে আমি জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ কাজ শুরু করতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনা এক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে পারেন। তার সক্ষমতা ও যোগ্যতা আছে। জিয়া ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল হ্যাঁ-না ভাট দিয়ে। অবশ্য বিএনপি ১৯৯১ সালে নিরপেক্ষ নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছিল। এ ছাড়া তারা আর কোনো স্বচ্ছ নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে পারেনি।
তিনি আরো বলেন, রাজনীতিবিদদের বিচার হয়, এতে মানুষ খুশি। কিন্তু সরকারি আমলারা কি রাজনীতিবিদদের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয়। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এদেরও বিচার করা উচিত। ভোট চুরি আর দুর্নীতি, মাদকের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স বাস্তবায়ন করা হোক।
তিনি বলেন, কোনো কোনো চামচা নেতা বলে, ওমুক নেতার কারণে নোয়াখালীতে বিএনপির দুর্গ ভেঙেছে। আমি বলেছি, জনপ্রিয় ২ থেকে ৩ জন ছাড়া আগামীতে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমাদের অনেক এমপি পালিয়ে যাবার দরজাও খুঁজে পাবে না। আমার নাকের ডগায় দম থাকা পর্যন্ত এ কথাগুলো আমি বলে যাব।
তিনি বলেন, আমাদের পোস্টার মাইজদি ও ফেনীর ষড়যন্ত্রকারীরা ছিঁড়ে ফেলেছে। বিএনপি-জামায়াত আমার পোস্টার ছিঁড়ে নাই। আমাকে সত্য কথাগুলো বলতে হবে, না বললে তারা সংশোধন হবে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, এগুলো আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানতে হবে। শেখ হাসিনা সাহসী নেত্রী, ১৭ বার ওনাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। আল্লাহ ওনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। বিএনপি পিন্টুর মতো দুর্নীতিবাজ নেতাদের বিচার করেনি, আমার নেত্রী শেখ হাসিনা নিজের দলের দুর্নীতিবাজদের বিচার করে দেশবাসীকে দেখিয়ে দিয়েছেন।
এ সময় ফেনীতে উপজেলা চেয়ারম্যান একরামকে পুড়িয়ে হত্যা এবং সরকারি কর্মচারীদের নানা দুর্নীতিরও সমালোচনা করেন তিনি।