প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ
পোস্ট ডেস্ক : অবশেষে পিছু হটল হোয়াটসঅ্যাপ।
তাদের নয়া প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে প্রবল বিতর্কের মধ্যেই জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, প্রাইভেসি আপডেটের বিষয়টি আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। বিবিসি সূত্রে খবর, ইউজারদের মধ্যে যাতে কোনও ভুল বোঝাবুঝি না থাকে, সেজন্য তারা তাঁদের আরও বেশি সময় দিতে চায়। হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, ছড়িয়ে পড়া নানা গুজবের ফলে ইউজাররা উদ্বিগ্ন হচ্ছেন তথ্যসুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিল তারা। ঠিক কি জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ? ফেসবুকের মালিকানাধীন সংস্থার তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত তারিখের মধ্যে সবাইকে পলিসি আপডেটের বিষয়ে সম্মতি দিতে বলা হয়েছিল তা বাতিল করা হল। পূর্ব ঘোষণামতো, ৮ ফেব্রুয়ারি কারও অ্যাকাউন্টই ডিলিট করা হবে না। আপাতত হোয়াটসঅ্যাপ সমস্ত ইউজারদের ভুল ধারণাকে ভাঙানোর লক্ষ্যেই এগোবে।
হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি ও তথ্যসুরক্ষার বিষয়ে সকলকে সঠিক ধারণা দেওয়ার পরে ধীরে ধীরে পলিসি রিভিউয়ের দিকে এগনো হবে। আগামী ১৫ই মে তাদের নতুন বিজনেস অপশন আসার আগে ফের রিভিউয়ের কথা ভাবা হবে বলে জানানো হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ প্রাইভেসি পলিসি আপডেটের ঘোষণা করার পর থেকে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। বহু ইউজারই হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে সিগন্যাল কিংবা টেলিগ্রামের মতো অন্য অ্যাপের দিকে ঝুঁকছিলেন। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়ায়, এই সপ্তাহে ভারতের এক নম্বর অ্যাপ হয়ে উঠেছিল সিগন্যাল! অবশেষে পলিসি আপডেট নিয়ে এই সিদ্ধান্ত। বিতর্কের মধ্যেও প্রথম দিকে হোয়াটসঅ্যাপ কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেই ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে দেখে কয়েকদিন আগে এক বিবৃতিতে ফেসবুকের মালিকানাধীন সংস্থাটি জানিয়ে দেয়, ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। নতুন প্রাইভেসি পলিসির কারণে তা বিঘ্নিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি না শুধরানোয় অবশেষে এই পথে হাঁটতে কার্যত বাধ্য হল তারা। সেই সঙ্গে এদিনও পরিষ্কার করে তারা জানিয়েছে দিয়েছে, এই আপডেটের ফলে ফেসবুকের সঙ্গে তথ্য শেয়ার করা হবে এমন তথ্য একেবারেই সঠিক নয়।