দেশে ধর্ষণ-নির্যাতনের শিকার ৩৪৪০ নারী ও কন্যাশিশু

Published: 17 January 2021

বিশেষ সংবাদদাতা, ঢাকা :  করোনাকালে দেশে ধর্ষণ-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩ হাজার ৪৪০ নারী ও কন্যাশিশু। রবিবার (১৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এ তথ্য জানিয়েছে।

২০২০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ১৩৪৬ কন্যাশিশু ও নারী ধর্ষণের ঘটনাসহ মোট ৩৪৪০ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, ২০২০ সালের মোট ৩৪৪০ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তন্মধ্যে ১০৭৪ জন ধর্ষণ, ২৩৬ জন গণধর্ষণ ও ৩৩ জন ধর্ষণের পর হত্যা ও ৩ জন ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যাসহ মোট ১৩৪৬ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এছাড়া ২০০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।

 

শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৪৩ জন। ৭৪ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ২৫ জন তন্মধ্যে এসিডদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে চার জনের। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ২৯ জন, তন্মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ৫৯ জন। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১২৫ জন। পাচারের শিকার হয়েছে ১০১ জন তন্মধ্যে পতিতালয়ে বিক্রি ৪ জন। বিভিন্ন কারণে ৪৬৮ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ৩৫ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতন হয়েছে ১১৭ জন, তন্মধ্যে ৫২ জন যৌতুকের কারণে হত্যা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৫৯ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারনে ১৬৪ জনকে বাধ্য করা হয়েছে।

২৫২ জন নারী ও কন্যাশিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্যবিয়ে সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ১১৭টি, তন্মধ্যে বাল্যবিয়ের চেষ্টা হয়েছে ৩৩টি। সাইবার ক্রাইম অপরাধের শিকার হয়েছে ৪৩ জন।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ জরিপ প্রকাশ করা হয়েছে।