ইরাকে পোপ ফ্রান্সিস

Published: 5 March 2021

পোস্ট ডেস্ক : প্রথমবারের মতো শুক্রবার ইরাকের মাটিতে পা রেখেছেন ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।

২০১৩ সালে পোপ হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার পর এটিই তার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সফর। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দেশটিকে দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। যে কারণে দায়িত্বের তাড়ায় তিনি এই প্রতীকী সফর করেছেন।

বার্তা সংস্থা এএফপি ও রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।

বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর সবার আগে তিনি ইরাকি প্রেসিডেন্ট বাহরাম সালিহের সঙ্গে দেখা করেন। প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

৮৪ বছর বয়সী এই পোপের সফর উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত হাজার হাজার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে।

তার সফরের আগে দেশটিতে মার্কিন সেনাদের অবস্থান করা বিমানঘাঁটিতে রকেট নিক্ষেপ ও আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে তার নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিমানবন্দর কম্পাউন্ড থেকে বেরিয়ে আসার সময় তার সঙ্গে বিশাল মোটরশোভাযাত্রা ছিল। তার বিমানে থাকা সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ফের সফরে বের হতে পেরে আমি আনন্দিত।

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন কোনো সফরে বের হননি তিনি। ২০১৯ সালের নভেম্বরের পর ইতালির বাইরে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে সফরে আসেন।

সাধারণত স্বাভাবিক ও ছোট গাড়ির বহর ব্যবহার করতে দেখা যায় পোপকে। কিন্তু ইরাকে তার নিরাপত্তার শঙ্কায় বুলেট-প্রতিরোধী বিএমডব্লিউ সেডান ব্যবহার করা হয়েছে।

এই সফরে জনসমক্ষে দেওয়া প্রথম ভাষণে তিনি বলেন, অবশ্যই সহিংসতা, উগ্রপন্থা, সংঘাত ও অসহিষ্ণুতার অবসান ঘটাতে হবে। ইরাকের নাগরিক হিসেবে পূর্ণ অধিকার, স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে জনজীবনে খ্রিষ্টানদের আরও ভূমিকা রাখতে তিনি আহ্বান জানান।