জনগণের চাপ বাড়ছে
সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জে.পি

Published: 14 March 2021

এম.হাসানুল হক উজ্জ্বল :

সিলেট-৩ আসনের বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর এই আসন শুন্য ঘোষণা হতে যাচ্ছে। আর এই শুন্য আসনে উপ নির্বাচন নিয়েও রাজনৈতিক মহলে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে কে প্রার্থী হচ্ছেন এ নিয়েও রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সর্ব মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা।
আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকর্মী জানিয়েছেন, দলীয় সিদ্ধান্তে যে কাউকে প্রার্থী ঘোষণা করা হলে তারা ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন। তবে প্রয়াত মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর অনুসারিরা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা এবং উন্নত ও আধুনিক সিলেট-৩ আসন দেখতে ওই পরিবার থেকে একজন প্রার্থী আসা করছেন। এ জন্য তারা দলীয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহলে ইতোমধ্যে তদবীর শুরু করেছেন।
ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ ও দক্ষিন সুরমার দলীয় নেতাকর্মী ও মাহমুদ উস সামাদ অনুসারিরা তাঁর পরিবারের সাথে ইতোমধ্যে যোগাযোগ শুরু করেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ওই আসনে প্রার্থী হওয়ার জন্য সারা বিশ^ তথা ও বাংঙ্গালী কমিউনিটিতে পরিচিত মুখ চ্যানেল এস’র চেয়ারম্যান, সামাজিক ব্যক্তিত্ব আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি’কে অনুরোধ জানিয়ে আসছেন দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ। সিলেট-৩ আসনের একাধিক শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা জানান, আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জে.পি ব্রিটেনে বসবাস করলেও দেশের ন্যায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার পরিচিতি রয়েছে। তিনি দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে আওয়ামীলীগ পরিবারের একজন পরিচিত ও বিশ^স্ত লোক। তাই তিনি এই আসনের হাল ধরতে পিছপা হবেন না বলে তারা আশাবাদি।
এ প্রসঙ্গে জানতে, চ্যানেল এস এর চেয়াম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জে.পি’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, দলীয় ও এলাকার জনগণ আমার বড় ভাইয়ের মৃত্যুতে শোকাহত। তারা এই অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না। আমাকে ফোন করে আমার ভাইয়ের অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করতে উপ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন। প্রতিদিন নেতাকর্মী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের শীর্ষ থেকেও একই অনুরোধ করা হচ্ছে। আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জানান, নির্বাচন করার পক্ষে আমার মত নেই। আমার ভাইয়ের মৃত্যুতে গোটা পরিবার বিপর্যস্ত।
তিনি আরো জানান, এই মহামারিতে দেশের আসার বিষয়টি মাথায় ছিল না। তবে জনগণের অনুরোধে আমি শীঘ্রই দেশে আসবো। তারপর এলাকা তথা এই আসনের জনগণ যদি আমাকে নিয়ে বসেন আর তারা আমাকে যোগ্য মনে করেন। তাহলে পরিবারের সবার মতামত নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।