সিলেট ৩-আসনে প্রার্থীতা ঘোষণা করলেন ফারজানা, ভোট হবে ইভিএমে
সিলেট অফিস :
সিলেট ৩-আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন প্রয়াত এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর সহধর্মিণী ফারজানা সামাদ চৌধুরী। এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর ইন্তেকালের পর উনার স্ত্রী ফারজানা সামাদ চৌধুরীর নির্বাচন করা না করা নিয়ে সিলেট ৩ আসনে নানা জল্পনা কল্পনা ছিলো নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের মধ্যে।
সেই কৌতূহলের অবসান ঘটিয়ে নিজের অবস্থান পরিস্কার করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়ে নেতাকর্মীদের সাথে মত বিনিময় করছেন ফারজানা সামাদ চৌধুরী। সম্প্রতি তিনি ফেঞ্চুগঞ্জস্থ বাস ভবনে ফেঞ্চুগঞ্জ-দক্ষিন সুরমা-বালাগঞ্জের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেনীপেশার লোকজনের সাথে মতবিনিময় করছেন।
এক বিবৃতিতে তিনি সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, স্বামী মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপির অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে ও নির্বাচনী এলাকার মানুষের পাশে থাকতে তিনি নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
এদিকে শূন্য হওয়া জাতীয় সংসদের সিলেটের ৩ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ধীরে ধীরে ইভিএমের ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবেই এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, সংসদ সদস্যের মৃত্যুর কারণে শূন্য হওয়া আসনে উপ-নির্বাচন হবে সিলেট-৩ আসনে। তবে কবে নাগাদ এসব আসনে নির্বাচন হবে তা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। কেননা, করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার কারণে দেশের সব নির্বাচনের উপর স্থাগিতাদেশ দিয়েছেন কমিশন।
জানা যায়, মরহুম মাহমুদ উস সামাদের সিলেট-৩ আসনের নির্বাচন সংবিধান নির্ধারিত নব্বইদিনের মধ্যে হচ্ছে না। এক্ষেত্রে তার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্য ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অর্থাৎ ৮ জুনের মধ্যে ভোটটি না হয়ে ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করবে সংস্থাটি।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার বলেন, জাতীয় সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে, আসন শূন্য হওয়ার নব্বইদিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। এক্ষেত্রে সিলেট-৩ আসনটি শূন্য হয় গত ১১ মার্চ। অর্থাৎ সংবিধান অনুযায়ী, ৮ জুনের মধ্যে ভোট করার বিধান রয়েছে। কিন্তু করোনা মহামারিকে ‘দ্বৈব দুর্বিপাক’ দেখিয়ে এ নির্বাচনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আরো নব্বইদিন সময় নিলেন, যে এখতিয়ার সংবিধানেই দেওয়া আছে। এক্ষেত্রে ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করা যাবে।