চেলসির দেনা শোধ করলেন হ্যাভার্টজ
পোস্ট ডেস্ক :
৪ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সাল। এদিনেই চেলসির ইতিহাসে সবচেয়ে দামী ফুটবলার হিসেবে যোগ দেন কাই হ্যাভার্টজ। ৮০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বায়ার্ন লেভারকুসেন থেকে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে আসেন এই জার্মান স্ট্রাইকার। মৌসুম শেষে সুদে আসলে যেন তা ফিরিয়ে দিলেন হ্যাভার্টজ। চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালের ৪২ মিনিটে তার করা গোলই দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপ সেরা করে চেলসিকে।
এবারের চ্যাম্পিয়নস লীগের গোটা আসরে ১২টি ম্যাচ খেলেছেন হ্যাভার্টজ, গোল করেছেন ১টি। আর সেই গোলটাই খেতাব এনে দেয় নীল জার্সিধারীদের। সেকারণে হয়তো একটু বেশিই উচ্ছ্বসিত ২১ বছরের এই তরুণ তুর্কি। ম্যাচ শেষে হ্যাভার্টজ জানান, এই মুহূর্তটার জন্য ১৫ বছর ধরে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি জানিনা কি বলা উচিত। দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষার অবসান হলো। এই মুহূর্তটার জন্য ১৫ বছর ধরে পরিশ্রম করেছি। আমি অভিভূত।’
এক সাংবাদিক তাকে ‘দামী ফুটবলার’ বললে হ্যাভার্টজ উত্তর দেন, ‘আমি এসবে মনোযোগ দিই না।’
অধিনায়ক সিজার অ্যাজপিলিকুয়েতাও তরুণ স্ট্রাইকারের সাফল্যে আনন্দিত। তিনি বলেন, ‘হ্যাভার্টজ মানসিকভাবে বেশ চাঙ্গা। সে পাগলের ন্যায় দৌঁড়ায়, এটা তারই প্রাপ্য। ছেলেটা একদিন সুপারস্টার হবে।’
২০১২ সালের ২৪শে আগস্ট চেলসিতে যোগ দেন অ্যাজপিলিকুয়েতা। দীর্ঘ নয় বছরে ইউরোপ সেরা হয়ে চেলসি অধিনায়ক জানালেন, এটি তার কাছে বিশেষ দিন। অ্যাজপিলিকুয়েতা বলেন, ‘২০১২ চ্যাম্পিয়নস লীগ জুয়ের ঠিক পরেই আমি এখানে এসেছিলাম। ইচ্ছে ছিল চ্যাম্পিয়নস লীগে সাফল্যের পুনরাবৃত্তি ঘটানো। অসাধারণ অনুভূতি। আমার পরিবার আজ এখানে রয়েছে। আমার কাছে এটি বিশেষ দিন।’
এনগোলো কন্তে সাফল্যের কৃতিত্ব দিলেন টমাস টুখেলকে। জানুয়ারিতে ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডকে সরিয়ে টুখেলের কোচ হিসেবে যোগদানকে এই সাফল্যের অন্যতম কারণ বলছেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী এই মিডফিল্ডার। কন্তের ভাষ্য, ‘নতুন কোচের আগমনেই সম্ভব হয়েছে। ট্যাকটিকস বদলেই আমরা সাফল্য পেয়েছি।’
সতীর্থদের ভূমিকা নিয়ে কন্তে বলেন, ‘অনেক বাধার মধ্যে সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং পরিশ্রমের ফসল এই ফলাফল। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি এবং জয় পেয়েছি।’