৭১-এর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে জেনেভায় জাতিসংঘের সামনে সমাবেশ ও মানববন্ধন

Published: 8 July 2021

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :

৭ জুলাই জেনেভায় জাতিসংঘের ইউরোপীয় সদর দফতরের সামনে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র কেন্দ্র ও সর্ব ইউরোপীয় শাখার সহযোগিতায় সুইজারল্যান্ডের নির্মূল কমিটি বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী মায়ানমারে গণহত্যার শিকার ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীর দ্রুত স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।

নির্মূল কমিটির সর্ব ইউরোপীয় শাখার সভাপতি তরুণকান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত, সুইজারল্যান্ড শাখার সভাপতি খলিলুর রহমান এবং কেন্দ্রীয় আইটি সেলের সভাপতি শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়ের সঞ্চালনায় এই সমাবেশে উদ্বোধনী ভাষণ দেন নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির। সমাবেশে কায়িকভাবে উপস্থিত থেকে এবং ভার্চুয়ালি বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্রিটিশ মানবাধিকার নেতা জুলিয়ান ফ্রান্সিস, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পৌত্রী সমাজকর্মী আরমা দত্ত এমপি, অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টির এমপি লরি ফার্গুসন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, খেমার রুজ ট্রায়ালের কম্বোডিয়ান টাস্ক ফোর্সের উপদেষ্টা গণহত্যা বিশেষজ্ঞ ড. হেলেন জার্ভিস, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলিম চৌধুরীর কন্যা অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী, ভারতের লেখক সাংবাদিক হিরন্ময় কার্লেকার, টার্কিশ পেন-এর সাবেক সভাপতি কবি ও নাট্যকার তারিক গুনারসেল, ভারতের জহওরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার ভরদ্বাজ, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত ইরানের মানবাধিকার নেতা বানাফশে যাদ, পোল্যান্ডের মানবাধিকার কর্মী নাটালিয়া সিনায়েভা পাঙ্কোভস্কা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বায়োমেডিকাল বিজ্ঞানী ড. জেফ মুডি, যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার নেতা ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন, টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি ফোরাম ফর হিউম্যানিজম তুরস্ক-এর সভাপতি লেখক চলচ্চিত্রনির্মাতা ফেরহাত আতিক, ফোরাম ফর সেক্যুলার ইজিপ্ট এ্যান্ড মিডল ইস্ট-এর সভাপতি মানবাধিকার নেতা সাংবাদিক মহসিন আরিশি, সুইজারল্যান্ডের আর্থ ফোকাস ফাউন্ডেশন-এর সহসভাপতি নিকোলাস ফুরে, যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত বেলুচ বুদ্ধিজীবী ড. নাসির দাস্তি, ওয়ার্ল্ড সিন্ধি কংগ্রেস-এর সাধারণ সম্পাদক মানবাধিকার নেতা ড. লাকু লুহানা, সুইজারল্যান্ডে নির্বাসিত বেলুচ মানবাধিকার নেতা মুনির মেঙ্গল, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত সিন্ধি মানবাধিকার নেতা ডঃ সাগর শেখ, ভারতের ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও লেখক প্রিয়জিৎ দেব সরকার, ইংল্যান্ডের মানবাধিকার নেতা ভাল হার্ডিং, পাকিস্তানের মানবাধিকার নেতা তাহিরা আবদুল্লাহ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত শ্রীলঙ্কার মানবাধিকার নেতা আরিয়াদাসা বিদ্যাসেকারা, যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত পাকিস্তানি মানবাধিকার নেতা আরিফ আজাকিয়া, আফগান ছাত্র নেতা সৈয়দ মশিউল্লাহ হাশিমি, গণহত্যার ভুক্তভোগী ফিলিস্তিনি লেখক আহমেদ শাফি, তুরস্কে আশ্রয়গ্রহণকারী উইগুর গণহত্যার ভুক্তভোগী সাবো কসিমোভা, লাইবেরিয়ার ছাত্র নেতা আবু এস. কামারা, নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ড. নুরন নবী, সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম, সর্ব ইউরোপীয় নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক মানবাধিকার নেতা আনসার আহমদ উল্লাহ, শিশু অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ কমিটির সদস্য ফয়সাল হাসান তানভীর, নির্মূল কমিটির বহুভাষিক সাময়িকী জাগরণের হিন্দি বিভাগের সম্পাদক ভারতের তাপস দাস, নির্মূল কমিটির সুইডেন শাখার সভাপতি মানবাধিকার নেতা আখতার এম জামান, নির্মূল কমিটির ফিনল্যান্ড শাখার সভাপতি ড. মুজিবুর দফতরি, বেলজিয়াম নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক মানবাধিকার নেত্রী আনার চৌধুরী, নির্মূল কমিটির যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইংল্যান্ড শাখার নেতা মানবাধিকারকর্মী মাহফুজ রহমান, নির্মূল কমিটির অস্ট্রেলিয়া শাখার সভাপতি সমাজকর্মী একরাম চৌধুরী, নরওয়ে নির্মূল কমিটির সভাপতি কবি খোরশেদ আহমেদ, টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি ফোরাম ফর সেকুলার হিউম্যানিজম তুরস্কের সাধারণ সম্পাদক লেখক চলচ্চিত্রনির্মাতা শাকিল রেজা ইফতি সহ ওয়ার্ল্ড সিন্ধি কংগ্রেস, বেলুচ ভয়েস, সুইজারল্যান্ডের আর্থ ফোকাস ফাউন্ডেশন, সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগ, সর্ব ইউরোপীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগ, আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সুইজারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড বঙ্গবন্ধু পরিষদ, নির্মূল কমিটির যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, সুইডেন, নরওয়ে, ফ্রিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইংল্যান্ড ও বোস্টন, তুরস্ক, মিশর, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া শাখার নেতৃবৃন্দ।

 

জেনেভার সময় বেলা বারটায় আরম্ভ হয়ে ছয় ঘন্টা দীর্ঘ এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে পাঁচটি মহাদেশের ২৩টি দেশের মানবাধিকার নেতা, বুদ্ধিজীবী, আইনপ্রণেতা, গণহত্যার ভিকটিম এবং নির্মূল কমিটির বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা কায়িকভাবে উপস্থিত থেকে এবং ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

 

সমাবেশ শেষে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের হাই কমিশনারকে নির্মূল কমিটির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সর্ব ইউরোপীয় শাখার সভাপতি তরুণকান্তি চৌধুরী ও সুইজারল্যান্ড শাখার সভাপতি খলিলুর রহমানের স্বাক্ষরকৃত স্মারকপত্র প্রদান করা