শ্রীমঙ্গল পৌরসভায় বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী

Published: 28 November 2021

শ্রীমঙ্গল সংবাদদাতা :

ইমিএম পদ্ধিতে ‘চায়ের দেশ শ্রীমঙ্গল’ পৌরসভার মেয়র পদে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত সতন্ত্র প্রার্থী শিল্পপতি মহসিন মিয়া মধু।

তিনি নারিকেল প্রতীকে ৫ হাজার ৯৮৯ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচন তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বি নৌকা প্রার্থী সৈয়দ মনসুরুল হক ৫ হাজার ৫৩২ ভোট পেয়েছেন।

রবিবার (২৮ নভেম্বর ) সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গল পৌরসভা নির্বাচনের জেলা নির্বাচন অফিসার মো.আলমগীর হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শ্রীমঙ্গল পৌরসভায় এই প্রথমবার ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। তবে এ পৌরসভায় একজন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায়, ১টি মেয়র ও ৮টি সাধারণ কাউন্সিলর এবং ৩টি সংরক্ষিত (মহিলা) কাউন্সিলর পদে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়। মেয়র পদে তিনজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩১ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

শ্রীমঙ্গল পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে ১১টি ভোট কেন্দ্র, মোট ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৯৪ জন ভোটার সকাল ৮টা থেকে ৪টা পর্যন্ত তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

উল্লেখ্য যে, ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল শ্রীমঙ্গল পৌরসভা নির্বাচন। এরপর মেয়াদ শেষ হলেও নানা আইনি জটিলতার কারণে নির্বাচন হয়নি। প্রায় ১১ বছর পর শ্রীমঙ্গল পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

যে কারণে নির্বাচন হয়নি –
শ্রীমঙ্গল পৌরসভায় ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়াদপূর্ণ হয়। সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১১ সালের ১৮ জানুয়ারি। বিজয়ীরা একই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি শপথ নিয়ে এর দুইদিন পর ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম সভা হয়। এই নির্বাচনে ভাতিজা মহসিন মিয়া মধু নিকট হেরে যান প্রয়াত চাচা সাবেক এমপি ও পৌর মেয়র মো. আহাদ মিয়া। সেই থেকে দীর্ঘ ১১ বছর ধরে মহসিন মিয়া মধু মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

শ্রীমঙ্গল পৌরসভা ১৯৩৫ সালের ১ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২৩ সালের আসাম মিউনিসিপ্যাল এ্যাক্ট এর বিধান অনুযায়ী প্রতিষ্ঠা হয় এই পৌরসভা। দুই দশমিক ৫৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের পৌরসভা দেশ স্বাধীনের পর ‘গ’ শ্রেণীতে রূপান্তর হয়। এরপর ১৯৯৪ সালের ১ জুলাই ‘খ’ শ্রেণীতে ২০০২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ‘ক’ শ্রেণীতে উন্নীত হয়। কিন্তু সীমানা বর্ধিত করা হয়নি। ২০১৫ সালে কাজী মো. আব্দুল আজিজ সীমানা বর্ধিতকরণের জন্য উচ্চ আদালতে একটি রিট দায়ের করেন। রিট পিটিশন নং-৮৬৭৫/২০১৫। প্রায় একই সময়ে জাহাঙ্গীর হোসেন নামের আরেকজন একই বিষয়ে আরেকটি রিট করেন।

রিট পিটিশন নং-৮৯২৩/২০১৫। এরপর উচ্চ আদালতের নির্দেশে সীমানা বর্ধিতকরণের কার্যক্রম শুরু হয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় একটি ডিজিটাল ম্যাপও তৈরি করে। সীমানা বর্ধিতকরণের কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। শ্রীমঙ্গল পৌরসভার বয়স প্রায় ৮৬ বছর।