কেলির ১১০ মিনিটের গোলে ৫৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

Published: 1 August 2022

পোস্ট ডেস্ক :


ছেলেরা পারেনি। তবে পেরেছে মেয়েরা। জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে ইংল্যান্ড নারী ফুটবল দল। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ১-১ সমতা ছিল ম্যাচে। ১১০তম মিনিটে গোল করেন বদলি নামা খেলোয়াড় ক্লোই কেলি। তার গোলেই প্রথমবারের মতো ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।

গত বছর ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ছেলেদের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ইংল্যান্ড হেরে যায় ইতালির কাছে। ওই ক্ষতে প্রলেপ দিলো মেয়েরা। পুরুষ ও নারী দল মিলিয়ে ১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর কোনো মেজর ট্রফি জিতলো ইংল্যান্ড।

গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৬২তম মিনিটে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে নেন এলা টুন। তবে ৭৯তম মিনিটে লিনা মাগুলের গোলে সমতা আনে জার্মানি। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হয় সমতায়।

ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। সেখানেই চমক দেখান ক্লোই কেলি। ইনজুরির কারণে মৌসুমের সিংহভাগ সময় কেলির কেটেছে সাইডলাইনে। ৬৪তম মিনিটে বেথ মিডের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন এই স্ট্রাইকার। কে জানতো তার গোলেই ইউরোতে প্রথম শিরোপা লিখা আছে ইংল্যান্ড নারী দলের! ১১০তম মিনিটে কর্নার কিক থেকে ডি-বক্সের জটলার মধ্যে বল পান কেলি। প্রথম প্রচেষ্টায় বলে পা ছুঁতে পারেননি। তবে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম হন তিনি। আর ইংল্যান্ড গড়ে ইতিহাস।
১৯৮৪ সালে নারী ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরেই ফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড নারী দল। কিন্তু সেবার দুই লেগের ফাইনালে ১-১ সমতার পর টাইব্রেকারে সুইডেনের কাছে হেরে যায় তারা। ১৯৮৯ থেকে ইউরোতে শুরু হয় জার্মান দাপট। ২০১৩ পর্যন্ত ৯টি আসরের ৮টিতেই চ্যাম্পিয়ন হয় জার্মানি। মাঝে ২০০৯ সালের ফাইনালে তারা হারায় ইংল্যান্ডকে। গতবার কাপটা জিতেছিল নেদারল্যান্ডস।

রোববার ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ড-জার্মানির ফাইনাল দেখতে আসে ৮৭,১৯২ জন দর্শক। মেয়েদের ইউরোতে এর আগে কোনো ম্যাচে এত সংখ্যক দর্শক উপস্থিত হয়নি। সর্বোচ্চ ৬৮ হাজার উপস্থিতি ছিল এবারের ইংল্যান্ড-অস্ট্রিয়ার গ্রুপ পর্বের ম্যাচে। আর ফাইনাল ম্যাচে সর্বোচ্চ সংখ্যক দর্শক হয়েছিল ২০১৩ সালে জার্মানি-নরওয়ের ফাইনালে।