আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শাহজাহান ওমরের জনসমাবেশ
বিশেষ সংবাদদাতা :
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর বীরউত্তম আওয়ামী লীগে যোগদান করে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন। এদিকে তিনি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে উপস্থিত হন। এ নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে এলাকাজুড়ে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কাঁঠালিয়া উপজেলা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত আওয়ামী লীগের সমাবেশে নেতাকর্মীদের মাঝে উপস্থিত হয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পরিচয় করিয়ে দেন শাহজাহান ওমর। সমাবেশস্থলে শাহজাহান ওমরের বাম পাশে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে চেয়ারে বসে ছিলেন কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়াজী। তার পাশে বসেছিলেন সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন কবির।
অপরদিকে ডান পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন কাঁঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. গোলাম কিবরিয়া সিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল বাসার বাদশা, শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মাহমুদ হোসেন রিপন।
সমাবেশে শাহজাহান ওমর বলেন, কাঁঠালিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের কোনো গ্রুপিং থাকতে পারবে না। এখানে তরুণ লীগ, কিবরিয়া লীগ, বুড়া লীগ ও বাচ্চা লীগ থাকতে পারবে না। এখানে থাকবে শুধু শেখ হাসিনা লীগ।
তিনি আরও বলেন, আমি এবং বিএনপির দলবলসহ আপনাদের মেহমান। আমাদের বরণ করে নেবেন। আমরা শিক্ষিত লোক, আমাদের সম্মান করলে আপনাদেরও আমরা সম্মান করব।
সমাবেশ শেষে তিনি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। আগামী ১১ ডিসেম্বরের পর আবার দেখা হবে বলেও জানান তিনি। এ সময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে আসলেও তা শাহজাহান ওমরকে দেওয়ার সুযোগ না পাওয়ায় তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে বসা কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়াজী বলেন, আগ্নেয়াস্ত্রটি ব্যারিস্টার মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর বীরউত্তমের লাইসেন্সকৃত বৈধ অস্ত্র। তিনি থানার অনুমতি নিয়েই কাঁঠালিয়ায় আসেন। তখন কাঁঠালিয়া থানার ওসিও এখানে উপস্থিত ছিলেন। আমার কাছে অস্ত্রটি রাখতে বলায় আমি আমার হাতে ধরে রাখছি। তার সঙ্গে আরও একটি লাইসেন্সকৃত পিস্তল ছিল।
এ বিষয়ে কাঁঠালিয়া থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, জনসমাবেশে কোনো পুলিশ উপস্থিত ছিল না। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা ডিউটিতে ছিল। আইনগতভাবে তিনি অস্ত্র নিয়ে জনসমাবেশ করতে পারেন না।
ঝালকাঠি জেলা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির সদস্য ঝালকাঠির সিনিয়র সহকারী জজ পল্লবেশ কুণ্ডু বলেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী জনসমাবেশে অস্ত্র নিয়ে যেতে পারবেন না, এতে জনমনে ভীতি সৃষ্টি হয়। তাই প্রার্থী শাহজাহান ওমরকে শোকজ করা হবে।