বাংলাদেশে এবারের নির্বাচন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাইলফলক হবে: চীন
বিশেষ সংবাদদাতা :
আগামী রোববার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচন নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হবে এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য একটি মাইলফলক হবে বলে মন্তব্য করেছে চীন। আর এই জানুয়ারির নির্বাচনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেছে ভারত।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সাংবাদিকদের বলেন, আশা করি- এটি একটি সফল ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতার জন্য একটি মাইলফলক হবে। চীন আশা করছে, নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচনের পর বাংলাদেশ ‘শক্তিশালী, আরও স্থিতিশীল ও ঐক্যবদ্ধ’ হবে।
এদিকে নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন মুখপাত্র রণধীর জয়সাওয়াল সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা ধারাবাহিকভাবে বলে আসছি— বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ঠিক সেখানেই আছি। গত সংবাদ সম্মেলনেও এই প্রশ্ন করা হয়েছিল। আমার আগে যিনি ছিলেন, তিনিও এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। সুতরাং বিষয়টি আমি এই অবস্থাতেই রেখে দিচ্ছি।’
অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে। আমরা বেশ কয়েকবার বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেছি। আমরা খুব নিবিড়ভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করব।
অপরদিকে জাতিসংঘ বলেছে, তারা বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। গত ৩ জানুয়ারি নিউইয়র্কে এক ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের সহযোগী মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোতো নিনো সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আশা করি- সব নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বরাবরই বলে আসছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচনে মানুষ নির্ভয়ে ভোট দেবে জানিয়ে আজ (শুক্রবার) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ৭ জানুয়ারি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া হবে। সবাই ভোটকেন্দ্রে আসবে। তারা নির্ভয় ভোট দেবে। ভোট দিতে কেউ বাধা দিলে তাদের প্রতিহত করা হবে।
এ সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এই নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে যে বা যারাই বাধা দেবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিষেধাজ্ঞা দেবে বলেছিল। কিন্তু বিএনপি প্রকাশ্যে নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে, হরতাল দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে কেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিরুদ্ধে ভিসানীতি প্রয়োগ করছে না। সেটা আমাদের মনে প্রশ্ন জাগায়!