ইনশাহআল্লাহ আসছে চ্যানেল এস-সে: বাসন্তী মহিমায় বাংলা পোস্টের প্রযোজনা ‘যদি সোনার বাংলায়’

Published: 12 August 2024

ভরা গ্রীষ্মের সপ্তঅগ্নি মশাল আলোধারায় যখন উজ্জ্বল নিখিল ধরিত্রী, অপরূপা বাংলার রূপ বাহারি মেতে উঠে আকাশে, বাতাসে, মাঠে, ঘাটে। এমনি বাসন্তী মহিমায় বিমোহিনী বাংলার দু’এক ঝলক তুলে ধরতে আসছে বাংলা পোস্টারের নতুন প্রযোজনা ‘যদি সোনার বাংলায়’ কাব্য।

 

এই কাব্য যেন বাংলার হৃদয়ের এক গভীর প্রতিচ্ছবি। যখন ভোরের সূর্যোদয়ের সঙ্গে আকাশপারের রঙধনু হাসিয়ে ঝরে পড়ে প্রজাপতির ডানায়, তখন মনে হয় প্রকৃতির এক অলৌকিক মায়াবী পরশ আমাদের স্পর্শ করছে। এই সোনার বাংলার মাটি, আকাশ, বাতাসে মিশে থাকে এক অদ্ভুত সুর, যা হৃদয়ের গভীরে বাজে।

 

সারাদিন বাংলার জনপদে, হাওর-বাওর, ধানক্ষেতের মাঝে যখন হেঁটে চলেন, তখন বুনোপথে ছায়া বীথি বনবনানীর মধ্যে দিয়ে কৃষ্ণচূড়ার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দেয় দুপুরের লালপরী। সেই লালপরীর মায়াবী স্পর্শে বাংলার মাটি যেন আরও উর্বর হয়ে ওঠে, আর প্রকৃতির এ মনোহর দৃশ্য যেন আঁকা হয়ে যায় এক চিরন্তন ক্যানভাসে।

 

কালো মথুরা, ধানি তুলিকা আর গিরিয়া হাঁসের ডানা মেলা যেন বাংলার আকাশকে আরও বিস্তৃত করে। সিঁদূরে সাহেলি কাঠঠোকরা আর মৌটুসী পাখির গান বাংলার বাতাসকে করে তোলে সুরভিত। শাপলা ঝিলের পারে বটতলায় বসে কৃষাণ যখন মনের সুখে বাসুরি বাজায়, তখন সেই সুরে বাংলার প্রকৃতি যেন আরও মোহনীয় হয়ে ওঠে।

 

নীলিমার নীলপরী বাদলদিঘীর জলকেলি শেষে, যখন সন্ধ্যার স্নিগ্ধ আলোয় মায়ের মায়াবী পরশ ভরে ওঠে আঙিনায়, তখন সেই মুহূর্তে বাংলার প্রকৃতিতে মিশে যায় এক অসীম শান্তি।

 

বাংলার এই অপার সৌন্দর্য ও কাব্যিক আবহাওয়াকে তুলে ধরতে যেমন আমাদের ‘যদি সোনার বাংলায়’ কাব্য প্রস্তুত হয়েছে, তেমনি ইংরেজি সাহিত্যের রোমান্টিক কবিতাতেও প্রকৃতির মুগ্ধতা ধরা পড়ে। উদাহরণস্বরূপ, উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের “আই ওয়ান্ডার্ড লোনলি অ্যাজ এ ক্লাউড” কবিতায়ও প্রকৃতির সঙ্গে কবির গভীর সংযোগ ফুটে ওঠে। সেখানে ড্যাফোডিল ফুলের সোনালি সৌন্দর্য যেমন কবির মনকে আনন্দে ভরিয়ে তোলে, তেমনি আমাদের বাংলার ধানক্ষেত, নদী, বন-বনানীর অনির্বচনীয় রূপ তুলে ধরা হয়েছে এই কাব্যে। এই দুটো কবিতার মধ্যে প্রকৃতির মহিমা ও তার সঙ্গে মানব মনের সংযোগের যে অভিন্নতা আছে, তা আপনাকে এক নতুন অনুভূতির জগতে নিয়ে যাবে। বাংলার প্রতিটি রূপ যেন হৃদয়ে ছোঁয়া দিয়ে যায়, তেমনি এই কাব্যের প্রতিটি পঙক্তি আপনাকে নিয়ে যাবে বাংলার সেই মায়াবী জগতে।

 

সোনার রবি কোমল হাসি হেসে সাঁঝের মায়ায় নেমে আসে বাংলার আকাশে, তুলে দেয় লাল-শালুকের মালা চাঁদের গলায়। ‘যদি সোনার বাংলায়’ কাব্যে এইসব মুগ্ধকর মুহূর্তকে তুলে ধরা হয়েছে, যা দর্শকের হৃদয়ে গভীর আলোড়ন তুলবে ইনশাহআল্লাহ। বাংলার এই অপার সৌন্দর্যের কাব্যিক উপস্থাপনা আপনারা উপভোগ করতে পারবেন শিগগিরই।