চেকে নগদ তোলা যাবে ৪ লাখ টাকা
বিশেষ সংবাদদাতা :
নতুন সপ্তাহে যেকোনো ব্যাংকে চেকের মাধ্যমে টাকা তোলার পরিমাণ আরো এক লাখ টাকা বাড়ছে। রোববার (২৫ আগস্ট) গ্রাহকেরা চেকের মাধ্যমে ৪ লাখ টাকা তোলার সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত সপ্তাহে নগদ তোলার সুযোগ ছিল সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে নগদ উত্তোলনের সুযোগে আরো ১ লাখ টাকা বাড়িয়ে নতুন সীমা ঠিক করে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
শনিবার (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তটি সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে অবহিত করা হয়েছে, সঙ্গে ‘নিরাপত্তার কারণ’ দেখিয়ে ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে।
গণআন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর গঠিত অন্তর্র্বতীকালীন সরকার অন্যান্য খাতের মত ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে সংস্কারের কথা বলছে। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংক লুটপাট, দুর্নীতি ও শেয়ারবাজারে কারসাজি করে অবৈধ উপায়ে বিপুল অর্থ-বৈভবের মালিকরা যেন টাকা পাচার করতে না পারে, সেদিকেও নজর রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের।
৮ অগাস্ট অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠনের পর ব্যাংকিং লেনদেনে নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ আসে। সেদিন থেকে ব্যাংক থেকে চেকের মাধ্যমে ১ লাখ টাকার বেশি তুলতে না দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
চেকের মাধ্যমে টাকা তোলার ক্ষেত্রে বা কোনো লেনদেনে সন্দেহ হলে সেটি বন্ধ করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অবশ্য চেকের মাধ্যমে ৪ লাখ টাকার বেশি তোলা না গেলেও ডিজিটাল লেনদেনে যেকোনো পরিমাণ টাকা স্থানান্তর করার সুযোগ থাকছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, দেশে নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ কিছুটা বেড়ে যায়। বিশেষ করে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী পরিবার থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ দেখা যায়। এসব অর্থ যাতে কোনোভাবেই সন্ত্রাসী বা অবৈধ কাজে ব্যবহৃত না হয়, সে জন্য নগদ টাকা উত্তোলন কিছুটা নিরুৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ব্যাংক লেনদেনে ‘অতিরিক্তি সতর্কতা’ অবলম্বন করতে সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছে। ব্যাংকগুলোর প্রধান অর্থপাচার নিরোধ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করে নির্দেশনাটি দিয়ে রাখে বিএফআইইউ।