বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে ভারত কাজ চালিয়ে যাবে : জয়শঙ্কর

Published: 30 August 2024

বিশেষ সংবাদদাতা :


বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে ভারত কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ভারতকে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ স্বার্থে কাজ করতে হবে। সেখানে বর্তমানে যে সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, ভারত তার সঙ্গেই কাজ চালিয়ে যাবে।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দিল্লিতে রাজীব সিক্রির লেখা ‘স্ট্র্যাটেজিক কনড্রামস : রিশেপিং ইন্ডিয়াস ফরেন পলিসি’ বই প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আপনারা সবাই জানেন, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ওঠানামার মধ্য দিয়ে গেছে। আর সরকারে যে থাকে, তার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবো, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এটা আমাদের স্বীকার করে নিতে হবে যে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটেছে। আর রাজনৈতিক পরিবর্তনে….(সম্পর্ক) বিঘ্নিত হতে পারে। আমাদের সম্পর্কের বিষয়টিকে পারস্পরিক স্বার্থের প্রেক্ষাপট থেকে দেখতে হবে।

এস জয়শঙ্কর বলেন, ভারতকে বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থের ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে হবে। ভারত বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে লেনদেন করবে।

তিনি বলেন, এটা স্বাভাবিক, আমরা নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করব। আমাদের এটা স্বীকার করতে হবে যে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে এবং এই পরিবর্তন অনেক সময় অপ্রত্যাশিতভাবে হয়ে থাকে। স্পষ্টতই এখানে অবশ্যই আমাদের পারস্পরিক স্বার্থের ব্যাপারটা দেখতে হবে।’

এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘প্রতিবেশীরা সর্বদা একটি ধাঁধা… আমাকে বলুন তো, এমন কোন দেশ আছে যেখানে প্রতিবেশীদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই?’

ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে চলে যান।

ইতোমধ্যে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছে বাংলাদেশে, যাতে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা যায়।

এর আগে গত ১৭ অগাস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ হয়। ইউনূস সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দেন।

ওই সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে নরেন্দ্র মোদী লিখেছিলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে ‘বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে’ তার কথা হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং অগ্রগামী বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থনের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছি। তিনি আমাকে বাংলাদেশে হিন্দুসহ সমস্ত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছেন।