প্রশ্নফাঁসের দায়ে ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪

Published: 15 September 2024

বিশেষ সংবাদদাতা :


বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় শাহবাগ থানার মামলায় ১০ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যে সাতজনের চার বছর এবং তিনজনের দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অন্য ১১৪ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শাহবাগ থানার মামলায় এই রায় দেওয়া হয়। কারাদণ্ড পাওয়া ১০ জনের মধ্যে সাত জনের চার বছর এবং তিন জনের দুই বছর করে সাজা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর ১১৪ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলে সিআইডি অভিযান চালিয়ে মামুন ও রানা নামে দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতাে করে । তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন পরীক্ষার হল থেকে গ্রেফতার হয় রাফি নামে ভর্তিচ্ছু একজন শিক্ষার্থী। ওইদিন শাহবাগ থানায় ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারা ও ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯(খ) ধারায় মামলা করে সিআইডি। ২০১৯ সালের তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র এএসপি সুমন কুমার দাস আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারায় সব আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন। পরে ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯(খ) ধারায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১২৪ জনের বিচার শুরু হয়।

যাদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয় তারা হলেনÑ ইব্রাহিম, অলিপ কুমার বিশ্বাস, মোস্তফা কামাল, হাফিজুর রহমান, মাসুদ রহমান তাজুল, রিমন হোসেন, মহিউদ্দিন রানা, আইয়ুব আলী বাধন, আবদুল্লাহ আল মামুন, ইশরাক হোসেন রাফি, জাহাঙ্গীর আলম, মামুন মিয়া, অসিম বিশ্বাস, অনোয়ার হোসেন, নুরুল ইসলাম, হাসমত আলী সিকদার, হোসনে আরা বেগম, গোলাম মো. বাবুল, টি এম তানভির হাসনাইন, সুজাউর রহমান সাম্য, রাফসান করিম, আখিনুর রহমান অনিক, নাজমুল হাসান নাঈম, ফারজাদ ছোবহান নাফি, আনিন চৌধুরী, রকিবুল হাসান ইসামী, বনি ইসরাইল, মারুফ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, খান বহাদুর, কাজী মিনহাজুল ইসলাম, নাহিদ ইফতেখার, রিফাত হোসেন, বায়েজিদ, ফারদিন আহম্মেদ সাব্বির, তানভির আহম্মেদ মল্লিক, প্রসেনজিত দাস, আজিজুল হাকিম, নাভিদ আনজুম তনয়, সালমান এফ রহমান হৃদয়, সজীব আহাম্মেদ, শিহাব হোসেন খান, এনামুল হক আকাশ, মোশারফ মোসা, মোহায়মেনুল ইসলাম বাঁধন, সাইদুর রহমান, আব্দুর রহমান রমিজ, গোলাম রাব্বী খান জেনিথ, উৎপল বিশ্বাস, বেলাল হোসেন বাপ্পী।

মশিউর রহমান সমীর, আবু জুনায়েদ সাকিব, মোস্তাফিজ-উর-রহমান মিজান, আবুল কালাম আজাদ, শরমিলা আক্তার আশা, মাসুদ রানা, জেরিন হোসাইন, শেখ জাহিদ বিন হোসেন ইমন, তাজুল ইসলাম সম্রাট, আবির হাসান হৃদয়, মোর্শেদা আক্তার, সালমান হাবিব আকাশ, আলামিন, শাহ মেহেদী হাসান হৃদয়, অনিকা বৃষ্টি, ফিওনা মহিউদ্দিন মৌমি, সিনথিয়া আহম্মেদ, শাবিরুল ইসলাম সনেট, লাভলুর রহমান লাভলু, ইছাহাক আলী ইছা, আব্দুল ওয়াহিদ মিশন, তানজিনা সুলতানা ইভা, ইশরাত জাহান ছন্দা, আশেক মাহমুদ জয়, নাফিসা তাসনিম বিন্তী, প্রনয় পান্ডে, নুরুল্লাহ নয়ন, জিয়াউল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম আরিফ, জাকিয়া সুলতানা, শাদমান শাহ, সাদিয়া সিগমা, রবিউল ইসলাম রবি, মেহেজাবীন অনন্যা, রাকিবুল হাসান, এম. ফাইজার নাঈম সাগর।

সাদিয়া সুলতানা এশা, সামিয়া সুলতানা, ফাতেমা আক্তার তামান্না, নওশীন আফরিন মিথিলা, আমরিন আলম জুটি, সুবহা লিয়ানা তালুকদার, মোহাইমিনুল রায়হান ফারুক, সাফায়েতে নূর সাইয়ারা নোশিন, মাসুদ রানা, ইখতেখার আলম জিসান, রাকিব হাসান, খালিদ হাসান, আজলান শাহ ফাহাদ, সৌভিক সরকার, রিজন আহমদ পাঠান, মাহবুব আলম সিদ্দিকী সম্রাট, হাসিবুর রশিদ, আফসানা নওরিন ঋতু, মারুফ হাসান খান, তৌহিদুল হাসান আকাশ, শাহাদৎ আল ফেরদৌস ফাহিম, আয়েশা আক্তার তামান্না, ফাতেমা তুজ জোহরা মীম, শ্বাষত কুমার ঘোষ শুভ, রাসেল আলী, রাজীবুল ইসলাম রাজীব, আবু মাসুম, জান্নাত সুলতানা, জিএম রাফসান কবির, সাগর সাহা, সাদেকুল ইসলাম সুমন, আব্দুল্লাহ, খাইরুজ্জামান সরকার সুজন, শাহেদ আহমেদ, মুহাইমিনুল ইসলাম মাসুদ, আশরাফুল আলম, হাসিবুর রহমান রুবেল এবং মাকসুদুর রহমান শুভ।