ময়মনসিংহ সীমান্তে সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্তসহ আটক ৪

Published: 16 September 2024

বিশেষ সংবাদদাতা :


ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত থেকে সাংবাদিক মোজাম্মেল হক বাবু ও শ্যামল দত্তসহ চারজনকে আটক করেন স্থানীয় জনতা। পরে তাদের ধোবাউড়া থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন তারা।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ও পোড়াকান্দুলিয়া সীমান্তের মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আটকেরা হলেনÑ একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোজাম্মেল হক বাবু, দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত, একাত্তর টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মাহবুবুর রহমান ও তাঁদের বহন করা প্রাইভেট কারের চালক।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. চাঁন মিয়া জানান, রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে একটি প্রাইভেটকারযোগে সীমান্তের দিকে যাচ্ছিলেন সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবু। সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করেন এলাকাবাসী। তাদের সঙ্গে আরও আটক হয়েছেন একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুবুর রহমান ও গাড়িচালক সেলিম। তাদের বহনকারী ওই প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়েছে।

ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে আটক চারজন পুলিশ হেফাজতে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট মামলায় তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। এনিয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এর আগে সপরিবারে ভারতে যাওয়ার সময় শ্যামল দত্তকে আটকে দিয়েছিল ইমিগ্রেশন পুলিশ।

গত ৬ আগস্ট বিকাল ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তিনি সপরিবারে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেন। সে সময় আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. খায়রুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।

সেদিন তিনি জানিয়েছিলেন, ৬ আগস্ট বিকালে শ্যামল দত্ত তার স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে ইমিগ্রেশনে প্রবেশ করেন। পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে দেশত্যাগে তার নিষেধাজ্ঞা থাকার বিষয়টি জানানো হয়। এরপর শ্যামল দত্তকে স্ত্রী-কন্যাসহ ইমিগ্রেশন থেকে ফেরত পাঠানো হয়।

এর আগে সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মোজাম্মেল বাবু, নঈম নিজাম, শ্যামল দত্ত, ফরিদা ইয়াসমিন, মুন্নী সাহা, সোমা ইসলামসহ মোট ৫৩ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ জন সাংবাদিক। ২৯ আগস্ট আন্দোলনে নিহত রিয়ানের বাবা আব্দুর রাজ্জাক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এ অভিযোগ দাখিল করেন।