১৮ মাসে ১১ যাত্রীকে খুন, পুলিশের জালে পাকড়াও সিরিয়াল কিলার ড্রাইভার

Published: 25 December 2024

পোস্ট ডেস্ক :


অসহায় যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার নাম করে প্রথমে গাড়িতে তুলত। তার পরেই মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করত। সেই দাবি না মেটালে অসহায় যাত্রীদের নৃশংসভাবে খুন করত। মহিলাদের ক্ষেত্রে খুনের আগে যৌন নির্যাতন চালাত। খুনের পরে ঠাণ্ডা মাথায় নিহতদের পিছনে লিখে দিত ‘ধোকেবাজ’।

গত দেড় বছরে এভাবেই ১৮ জনের প্রাণ কেড়েছিল ভয়ঙ্কর সিরিয়াল কিলার। অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) পাঞ্জাব পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে নরাধম রাম স্বরূপ। ৩৩ বছরের সিরিয়াল কিলারের বাড়ি পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরের গড়শঙ্করের চৌরায়।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) পাঞ্জাব পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বের হওয়ার মতো রাম স্বরূপের ভয়ঙ্কর কাণ্ডের হদিশ মিলেছে। গত ১৮ অগস্ট মোদরার এক টোল প্লাজায় কর্মরত এক কর্মী খুন হন। ঘটনার দিন সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই ৩৩ বছর বয়সী রাম স্বরূপকে শনাক্ত করা হয়। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রূপনগর জেলা থেকে তাকে পাকড়াও করা হয়। তার পর জেরা করতে গিয়ে বিস্ফোরক তথ্য বেরিয়ে আসে। জেরায় ধৃত জানায়, শুধু টোল প্লাজার কর্মীকেই নয়, আরও ১০ জনকে খুন করেছে। আর তা শুনেই কার্যত চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় তদন্তকারীদের।

জেরায় রামস্বরূপ জানিয়েছে, সে প্রথমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অসহায় যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার নাম করে গাড়িতে তুলত। মূলত অল্প বয়সী মেয়েরাই ছিলেন তার শিকার। গাড়িতে তোলার পরেই গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার জন্য মোটা টাকা দাবি করত। তা না দিলে প্রথমে যৌন হেনস্থা করত। তার পরে নৃশংসভাবে খুন করত। ১১ জনের মধ্যে একজনকে শ্বাসরোধ করে ও বাকিদের মাথায় আঘাত করে না ফেরার দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজনের পিঠে ‘ধোকেবাজ’ বা ‘প্রতারক’ শব্দও লিখে দিয়েছিল। যার পিঠে ‘ধোকেবাজ’ লেখা হয়েছিল তিনি ছিলেন প্রাক্তন সেনা কর্মী। তবে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পরে একটি বেসরকারি সংস্থায় নিরাপত্তা রক্ষী হিসাবে কর্মরত ছিলেন।