বাংলার চিরচেনা সরসী, শুভ নতুন বর্ষ, নতুন মনোহরী – পহেলা বৈশাখী

Published: 13 April 2025


শফি আহমেদ

 

যদি সোনার বাংলায়—আপনি যদি একটু মনোযোগী হয়ে চোখ মেলেন, দেখবেন: বাংলা বারো মাসের বারো গলিতেই, কোনও না কোনও নক্ষত্রের নামে নামাঙ্কিত রয়েছে কোরিওগ্রাফ—ফুলে ফোঁটা মালা, ছন্দিল মেলবন্ধন।

রঙের আঁতুড়ঘর ফাল্গুনের সাত রঙ নিয়ে, আট ফাল্গুনে আবির্ভাব হয়েছিল বাংলার সেরা অবদান—আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশ্বসভায়। অতঃপর, স্মৃতির ক’টি দিন—দুই কুড়ি পূর্ণ না হতেই, পুষ্পবিন্দুতে গাঁথা মালা হাতে নিয়ে আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস, ২৬ মার্চ।

 

ইতিমধ্যে ফুল-মল্লিকাদের রং, রসে, রূপে নিজেকে সাজাতে মেতে ওঠে সারা বিশ্ব। এমন সিধু ভরা মোক্ষম লগ্নে, অতালি-পাতলী ধেয়ে আসে। নেমে আসে আবহমান বাংলার চিরচেনা সরসী—নতুন বর্ষে নতুন মনোহরী, পহেলা কালবৈশাখী।

 

তখন সুদূরে সবুজ পাতার তীরে চেয়ে থাকা সজল কায়া—বাদলপরীর চোখে চোখ মেলালে মনে হবে, ভাঙা ঢালে বসে থাকা কালো কাকটাও যেন কী অপূর্ব সুন্দরী!

 

বাংলা ক্যালেন্ডার যেন এমনই এক জীবন্ত ক্যালাইডোস্কোপ—মাস বদলালেই বদলায় রং, গন্ধ, মেজাজ। চৈত্রের খর রোদ আর শালের ঘ্রাণের পরেই বৈশাখে আসে কালবৈশাখীর তাণ্ডব। জ্যৈষ্ঠে আমের মধুর ছোঁয়া, আষাঢ়-শ্রাবণে নেমে আসে শ্রাবণের নীল বৃষ্টি। শরতে কাশফুলের হাসি, হেমন্তে ধানসোনার মাঠ, আর শীতে কুয়াশা মাখা ভোর। সবশেষে, ফাল্গুন এসে হৃদয় রাঙিয়ে দিয়ে যায় রঙে আর ছন্দে।

 

প্রতিটি মাস, প্রতিটি রূপ—একটি আবহমান ধারার অভিজ্ঞান, যা বাংলাকে মাতিয়ে তোলে তার নিজস্ব ছন্দে। অতলে পাতালে বিস্তার হয় বিচিত্র ধারায়, তাতে থাকে অপার কনট্রাস্ট। তাই সাদা জলের বাদলপরীর চোখে, বৈশাখীর তাণ্ডবেও—ভাঙা ঢালের কোণে বসে থাকা কালো কাকটাও হয়ে ওঠে রূপকথার রাজহংসী।

 

বলুন তো, এমন প্রকৃতি আর কোথায় চোখে পড়ে?

 

কী দেখবেন – যদি সোনার বাংলায়? ইনশাআল্লাহ। আজ বাংলা শুভ নববর্ষ, পহেলা বৈশাখ—দেখুন চ্যানেল এসের পর্দায়, মোট ১৩ বার:

 

🕤 09:30

🕐 13:00

🕒 15:00

🕓 16:57

🕖 19:28

🕘 21:22

🕙 22:26

🕛 00:15

🕐 00:50