গণস্বাস্থ্যের কিট অনুমোদন না পাওয়ায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতি : জাফরুল্লাহ
পৃথিবীতে প্রথম অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট আমরা উদ্ভাবন করি। কিন্তু সরকারের সিদ্ধান্তহীনতা এবং অন্য উদ্দেশ্য থাকার কারণে আমাদের কিট অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এতে জনগণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তৈরি করোনা অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটের অনুমোদন না দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসে রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে প্লাজমা সেন্টারের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করে এই প্লাজমা সেন্টার করা হয়।
পৃথিবীর ১০টি দেশ গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট নেওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিল উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘সময়মতো রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় বাইরে পাঠাতে পারিনি। অথচ আমাদের পরে উদ্ভাবন করেও আমেরিকা থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি দেশ কিটের অনুমোদন দিয়ে ফেলেছে। এটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্য।’
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী প্লাজমা চিকিৎসা কথা জানিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বলছে, শুরুতে প্রতিদিন ২৫ জনকে প্লাজমা দেয়া হবে। সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিদিন ৫০ জনকে এবং অতিরিক্ত ৫০ জনকে প্যাকড সেল, প্লাটিলেট, বিভিন্ন ব্লাড ফ্যাক্টরস দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। থ্যালাসেমিয়া ও হিমোগ্লোবিনোপ্যাথির জন্য প্রয়োজনীয় রক্ত সঞ্চালনের ব্যবস্থা করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গণস্বাস্থ্য মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মহিউদ্দিন আহমেদ খান, গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটের উদ্ভাবক ডা. বিজন কুমার শীল প্রমুখ।