ফেসবুকে অপপ্রচার নিয়ে ডিপজলের প্রতিবাদ

তিনি আরও বলেন, কেউ বলতে পারবে না, আমি কারো ক্ষতি করেছি। চলচ্চিত্র এবং চলচ্চিত্রের মানুষের ভালোবাসা আমার রক্তের সঙ্গে মিশে আছে। চলচ্চিত্রে এখন অত্যন্ত কঠিন এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি কিভাবে চলচ্চিত্রকে আবার দাঁড় করানো যায়। এ সময়ে এসে একটি কুচক্রী মহল চলচ্চিত্রের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে ধ্বংস করার পায়তারা করছে, যা খুবই দুঃখজনক। যদি কারো বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ, রাগ, ক্ষোভ, অভিমান থাকে, তাহলে সে বা তারা নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলে মিমাংসা করতে পারে। তা না করে, ব্যক্তিগত ঈর্ষা ও হিংসা থেকে কারো মানসম্মানকে হেয় করে পাবলিকলি প্রচার করা অত্যন্ত গর্হিত ও অপরাধমূলক কাজ।
ডিপজল বলেন, আমরা চলচ্চিত্রের সকলে মিলে একটি পরিবার। এক পরিবারে বসবাস করলে মান-অভিমান, ঝগড়া-ঝাটি হতেই পারে এবং তা পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মিটমাটও করা যায়। জামাল পাটোয়ারী যে জঘন্য কাজ করেছে, তা শুধু অপরাধ নয়, অন্যায়। সে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এ কাজ করেছে। এটা কোনোভাবেই বরদাশত করা যায় না। খোঁজ নিয়ে যতদূর জেনেছি, তার নেতিবাচক কার্যকলাপের কারণে বিভিন্ন সময়ে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের কাজ চলচ্চিত্রের কোনো মানুষ করতে পারে না। আমাকে নিয়ে তার এই জঘন্য অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান জানান, জামাল পাটোয়ারী এর আগেও ফেসবুকে বিভিন্ন সময় আমাদের নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং কুরুচিপূর্ণ কথা প্রচার করেছে, যা পুরো চলচ্চিত্র পরিবারের জন্য অত্যন্ত অসম্মানের। এ কাজ একবার করেনি, একাধিকবার করেন। তাকে সতর্ক করা হলেও, সে এ অপপ্রচার বন্ধ করেনি। ফলে বাধ্য হয়ে শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। এরকম মিথ্যা-বানোয়াট, কুরুচিপূর্ণ ভিডিও যারা প্রকাশ করছে ও এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও সমিতির পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।
এদিকে, গতকাল শুক্রবার (১৪ আগস্ট) নিজ বাসা রাজধানীর মিরপুর কাজীপাড়া থেকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। চিত্রনায়ক ও শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান সম্পর্কে বিভিন্ন সময় মিথ্যা মানহানিকর ফেসবুক পোস্ট, ও ভিডিও প্রচার করার অপরাধে জামালের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন অভিনেতা।