নতুন নিয়মে যাত্রা শুরু ১৩ জোড়া ট্রেনের
‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ এই নিয়মে যাত্রা শুরু করল ১৩ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন। পর্যায়ক্রমে সব রুটের আন্তঃনগর ট্রেনসমূহ চালুর অংশ হিসেবে রোববার থেকে এই ট্রেনগুলো যাত্রা শুরু করে।
ট্রেনের টিকিট কাটার নতুন নিয়ম নিয়ে রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন জানান, ট্রেনের টিকিট নিয়ে যেন কোনো কালোবাজারি না হয় সেজন্য অনলাইনে টিকিট (নতুন নিয়ম) দেয়া হচ্ছে। রোববার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের সার্বিক কাজ পরিদর্শন শেষে রেলপথমন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘করোনার কারণে দুই মাস ছুটি শেষে গত ৩১ মে ১৭ জোড়া ট্রেন পুনরায় চালু করে রেল। রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখতে রোববার থেকে আরো ১৩ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু হলো। সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চলাচল করবে। তবে এজন্য যাত্রী সাধারণের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
স্মার্টফোন দিয়ে অনলাইনে টিকিট কাটার মতো সক্ষমতা শতভাগ মানুষের নেই, সেক্ষেত্রে তারা কী ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনার প্যানডেমিক এই সিচুয়েশনে খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণকে আমরা নিরুৎসাহিত করছি। স্কুল-কলেজ এখনো খোলেনি। এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় আমরা আসিনি। আর তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে দুর্নীতি যেমন কমবে, আমাদের সময়ও বাঁচবে। আমরা যা কিছু করছি তা সাধারণ যাত্রীদের জন্যই করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাভাবিক অবস্থায় একটা মানুষ ৪টি টিকিট কিনে অন্য কারো কাছে বিক্রি করে দেয়। তাই এক পরিচয়পত্রে ৪টি টিকিট করতে পারবেন না। এর উদ্দেশ্য হলো আপনার সঙ্গে যে চারজন ভ্রমণ করবেন, সেটিও আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে। সুতরাং আপনি যে ব্ল্যাক মার্কেটিং করছেন না সেটি আমাদের বুঝতে হবে।’
এর আগে মন্ত্রী কমলাপুর রেলস্টেশনে এসে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা ঢাকা-কিশোরগঞ্জ-ঢাকা রুটে চলাচলকারী কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে যাত্রার সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামানসহ রেলের কর্মকর্তারা।
নিয়মানুযায়ী একজনের টিকিটে অন্য কেউ ভ্রমণ করলে হস্তান্তরকারী ও ভ্রমণকারীকে টিকিটের সমপরিমাণ অর্থদণ্ড অথবা তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।